মনির হাওলাদার।।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নিম্নমানের নির্মাণ উপকরন ব্যবহার করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৫তলা বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলেন কলাপাড়া ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
রোববারবিকেলে উপজেলার ধানখালী মহের উদ্দিন (এমইউ) মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনেগি য়ে পাঁচতলা বিশিষ্ট ভবনের নির্মান কাজের সাইডে নিম্নমানের নির্মান উপকরন পেয়ে নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
এর আগে ধানখালী এমইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন বন্ধ করে দেন ইউএনও। সম্প্রতি ধানখালী ও চম্পাপুর একাধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকশ’ এসএসসি পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা কেন্দ্রের আবেদনের প্রেক্ষিতে সম্ভাব্য এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ভবনের নির্মাণ কাজে প্রাথমিকভাবে নিম্নমানের প্লাষ্টার বালু, ইটের
খোয়া ও পাথর ব্যবহারের প্রমাণ থাকায় নির্মাণ কাজ আপাতত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন ইউএনও এবং পটুয়াখালী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরকে নির্মাণ সামগ্রীর ল্যাব টেস্ট ও জরুরী কাজ পরিদর্শন করতে অনুরোধ করেন ইউএনও।
এদিকে কলাপাড়া পৌর শহরের বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ উপজেলার একাধিক স্কুল ক্যাম্পাসে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে কোটি কোটি টাকার নির্মান কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট স্কুল পরিচালনা কমিটি, প্রধান শিক্ষক, প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে নিম্নমানের উপকরন দিয়ে সিংহভাগ কাজ সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের দাবী চূড়ান্ত বিল পরিশোধের আগে জনস্বার্থে এসব কাজের গুনগত মান পরীক্ষা করা হোক।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর ল্যাব টেস্ট ও পরিদর্শন রিপোর্ট যাচাই করে গুণগত মান নিশ্চিত করে পুন:রায় ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে আমাদের সর্বোচ্চ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
পটুয়াখালী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, ’৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ের এমইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫ তলা ভবনের নির্মান কাজ যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে শফিক এন্টার প্রাইজ ও খান ট্রেডার্স। কাজ বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে তিনি অবগত হয়েছেন। ব্যবহৃত উপকরনের ল্যাব টেষ্টের উদ্দোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে মান
সম্মত নির্মান উপকরন দিয়ে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে।
তবে নিম্নমানের উপকরন ব্যবহারের বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com