কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী মিষ্টি পানের জন্য বিখ্যাত। মহেশখালী জেটিতে তৈরি হতে যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন পান ভাস্কর্য। কক্সবাজার টু মহেশখালী নৌ রুটে যাতায়তকারী যাত্রী ও পর্যটকদের জন্য ভাস্কর্য নির্মাণের পাশাপাশি থাকছে পাবলিক সিটিং, নামাজের ব্যাবস্হা, পাবলিক টয়লেট, রেস্টুরেন্টও শপিং করার ব্যাবস্হা।যাত্রী ও পর্যটকদের ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বাস্তবায়নকারী সংস্থা কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ।
যাতায়াতের অনেক যাত্রীরা অভিযোগ এনে জানান, প্রতিদিনই হয়রানির শিকার হতে হয় অনেক যাত্রীদের।রশিদ নামের এক যাত্রী বলেন,পর্যটন মৌসুমে হাজার হাজার লোকজন মহেশখালী আদিনাথ মন্দির দেখার জন্য আসে। কিন্তু জেটিতে স্পীট বোড বা ট্রলারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় দাঁড়িয়ে অনেক্ক্ষণ পর্যন্ত বসার কোন জায়গা নেই। তীব্র রোধের মধ্যে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
ইলিয়াছ নামে আরও এক যাত্রী বলেন, মহেশখালী জেটিটি এক কিলোমিটার হবে,কিন্তু জেটিতে একটি পাবলিক টয়লেট নেই এবং নামাজ পড়ার কোন জায়গা নেই।
আরও এক যাত্রী বলেন, মহেশখালী জেটিতে অনেক লোকজনের ভিড়, দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বসার কোন স্হান নেই। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে খুবই কষ্ট হয়।
অবশেষে বিষয়টি নজরে আসে কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের। তাই পর্যটকদের ভোগান্তি লাঘবে মহেশখালী জেটিতে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টি নন্দিন পান ভাস্কর্য। এই ভাস্কর্যকে ঘিরে থাকছে পাবলিক সেটিং,নামাজের ব্যাবস্হা পাবলিক টয়লেট, রেস্টুরেন্টে ও শপিংএর ব্যাবস্হা।
স্হানীয় সংসদ সদস্য এমপি আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, বর্তমান সরকার না চাইতে কক্সবাজারকে অনেক কিছু দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের উন্নয়নের জন্য মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। এরই অংশ হিসাবে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীকে সিঙ্গাপুরের আদলে রুপ দিতে চায় সরকার।
তিনি আরও জানান বর্তমানে মহেশখালী জেটিটি জরাজীর্ণ। তাই ৫০ কোটি টাকা ব্যায়ে একটি দৃষ্টি নন্দন জেটি নির্মাণের কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।
মহেশখালী জেটিতে নানা সুযোগসুবিধাসহ পান ভাস্কর্য নির্মাণ প্রকল্পটি কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ এক কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করেছেন বলেও জানান তিনি।