নিজস্ব সংবাদদাতা।।
এটি কোনো রূপকথার গল্প নয়। নয় সিনেমার কোনো দৃশ্য! এক তরুণী তার দুই ‘স্বামী’ নিয়ে দিব্যি বসবাস করছিলেন। এমন ঘটনা বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার জনতার হাট, রোগোনউদ্দিন গ্রামের,এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্ঠি হওয়ায় এলাকার লোকজন জানতে পারেন এক নারীকে দুজন পুরুষ স্ত্রী হিসেবে দাবি করছেন। সেই নারীর নাম সুমা আক্তার, পিতা মোহাম্মদ ইসহাক হাওলাদার গ্রামঃ রোগোনউদ্দিন,পোস্টঃ জনতার হাট,থানাঃ বাকেরগঞ্জ, বরিশাল।তার এক স্বামী হলেন, প্রবাসী মোঃ মিরাজ খাঁ, পিতাঃ....., গ্রাম+পো: শরিকল, উপজেলা: গৌরনদী, বরিশাল।
এবং দ্বিতীয় স্বামী মোঃ কালাম সর্দার, পিতা:ফজলুল হক, সিরাজপুর,থানা মহিপুর ,জেলা পটুয়াখালী। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্ঠি হয়েছে।
অভিযোগ ও অনুসন্ধানে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মামুন মেম্বার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, কালাম সর্দার ও সুমা বেগম দীর্ঘ দিন যাবত সিরাজপুর গ্রামে স্বামী ও স্ত্রীর পরিচয়ে বসবাস করে আসছেন। এবং কালাম সর্দারের আপন চাচাতো ভাই দ্বীন ইসলাম শুভ গণমাধ্যমকে জানান যে,আমার ভাই কালাম সর্দার ও সুমা বেগম তারা দু'জন স্বামী ও স্ত্রী এবং সুমা বেগম এর যে বাচ্চা আছে তা কালাম সর্দার এর বাচ্চা বলে আখ্যায়িত করেন। আমার জানামতে তারা দুইজন স্বামী ও স্ত্রী এবং আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি যে তার নাকি মিরাজ খাঁ নামে একজন প্রবাসী স্বামী রয়েছে। কিন্তু বর্তমান আমাদের সমাজে এক নারীর দুই স্বামী থাকতে পারে না, এটা মধ্যপ্রাচ্যের দেশে হতে পারে। এটা আমাদের দেশে নয়, এই বিষয়টি সমাজের চোখে একটি নিন্দনীয় বিষয়।
উক্ত বিষয়ে সুমা আক্তারের দ্বিতীয় স্বামী, কালাম সর্দার এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি সরেজমিনে গেলে তাদের বাড়ির আশেপাশের প্রতিবেশীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, কালাম সর্দার ও সুমা আক্তার স্বামী- স্ত্রী তারা একই ঘরে একই বিচানায় দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করেছে।
উক্ত বিষয়ে প্রবাসী স্বামী মিরাজ খাঁ এর এই নাম্বারে০১৭১৫-৭৬৮৪৯৩ তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে, সুমা আক্তার তার স্ত্রী এবং তার কাছে যে সন্তান আছে তার জন্মদাতা পিতা আমি নিজে। এবং আমি এ বিষয়ে আপনাদের সাথে কথা বলতে রাজি নই।
এ ব্যাপারে গণমাধ্যম কর্মীরা মুঠোফোনে সুমা আক্তার কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান এটা আমাদের বিষয় আমরা আমরাই ম্যানেজ করবো গণমাধ্যম কর্মী জিজ্ঞেস করলে ম্যানেজটা আসলে কি? তখন তিনি বলেন কালাম সর্দার এর সাথে থাকা সত্ত্বেও মিরাজ খাঁ সকল কিছু জেনেও আমাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছে। এই বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলতে রাজি না।
উক্ত বিষয় নিয়ে সুমার খালাতো ভগ্নিপতি ফায়জুল করিম পাপ্যু নিজের ব্যাক্তিগত নাম্বারে ০১৮৮১-১৬১৬৩৩ ফোন করে বলেন বিষয়টি নিয়ে আমাদের পরিবারে কথা হয়েছে যে, বিষয়টি সত্যি হলে ও হতে পারে, তাই তিনি এই বিষয়টি দামাচাপা দেয়ার জন্য বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করে শেষ পর্যন্ত ব্যার্থ হন।
এরপর সুমা আক্তারের বড় ভাই তার ব্যাক্তিগত ০১৭২৩-৮৫৮৬১৮ এই নাম্বারে ফোন করে তিনি গণমাধ্যম কর্মী কে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে থাকেন এবং বলেন যে আপনাদেরকে কে এই সংবাদ দিয়েছে তাকে আমি ছাড়বো না বলে ফোনটি কেটে দেন। পরবর্তীতে জানা যায় তিনি নাকি স্থানীয় ইউপি মামুন মেম্বার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বোনের সকল অপকর্ম সঠিক বলে জানতে পারেন।
বিঃদ্রঃ অনুসন্ধানে তার নাকি আরও কয়েকজন স্বামীর তথ্য দৈনিক ক্রাইম বাংলার অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে তাই অনুসন্ধানী সংবাদের আজকের প্রথম পর্ব দ্বিতীয় পড়বে থাকছে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চোখ রাখুন দৈনিক ক্রাইম বাংলায়।।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com