প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২৯, ২০২৫, ৪:৩৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ৫, ২০২৩, ৮:৩৯ পি.এম
কক্সবাজারের শীর্ষ মাদক কারবারি ইউপি সদস্য বাবুল র্যাবের হাতে গ্রেফতার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন।।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা ফালংখালী ইউনিয়নের আনজুমান পাড়া লাগোয়া পার্শ্ববর্তী মায়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে দেশে ইয়াবা নিয়ে আসা মাদক সিন্ডিকেটের শীর্ষ কারবারি জাফরুল ইসলাম প্রকাশ ওরফে বাবুল মেম্বারকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (৫ অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৫ এর একটি দল।
র্যাব জানায়, বাবুল টেকনাফ এলাকার শীর্ষ মাদক কারবারি। তিনি মিয়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে মাদক, অস্ত্র ও স্বর্ণসহ বিভিন্ন জিনিস দেশে নিয়ে আসতেন। বাবুলের হস্তক্ষেপে দেশে প্রতি মাসে প্রায় ৪০-৪৫ লাখ ইয়াবা নিয়ে আসা হতো। মাদক চোরাচালানের জন্য বাবুলের একটি নিজস্ব সশস্ত্র চক্র রয়েছে। এই চক্রের সদস্য সংখ্যা ২০-২৫ জন। চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে এই মাদক ব্যবসা করে আসছিলেন বাবুল।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, গত রাতে র্যাব-১৫ এর একটি দল টেকনাফের কাটাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী শীর্ষ সন্ত্রাসী জাফরুল ইসলাম প্রকাশ ওরফে বাবুল মেম্বারকে (৪২) গ্রেপ্তার করে। তাকে গ্রেপ্তারের সময় ৫৫ হাজার পিস ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ জব্দ করা হয়।
বাবুল কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকার একজন অন্যতম শীর্ষ মাদক কারবারি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী। স্থানীয় এলাকায় মাদক চোরাচালানের গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত তিনি। তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মাদক দেশে নিয়ে আসতেন। বাবুল মাদক কারবারসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য এলাকায় ২০-২৫ জনের একটি চক্র গড়ে তোলেন। তিনি এলাকায় চাঁদাবাজি, স্বর্ণ চোরাচালান, অবৈধ অস্ত্র, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, চোরাই পথে গবাদি পশু চোরাচালান এবং অবৈধভাবে পাহাড় কেটে মাটির ব্যবসাসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।
গ্রেপ্তার বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে খন্দকার আল মঈন বলেন, বাবুল ২০০৫ সালের পরে টেকনাফ এলাকায় মাদক ও অন্যান্য চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মাদক এনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দিতেন। ২০১৭ সালে এলাকার আরেক মাদক কারবারি লুৎফুর রহমানের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পলাতক তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী নবি হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। নবির সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকে বাবুল আরও বড় মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
বাবুল চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে মাদকসহ চোরাচালানের ব্যবসা করে আসছিলেন। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে এসব মাদক ২০-২৫ জনের একটি গ্রুপের সশস্ত্র পাহাড়ায় দেশে পৌঁছাত। বাবুল প্রতি সপ্তাহে চার-পাঁচটি ইয়াবার চালান দেশে নিয়ে আসতেন এবং বালুখালী এলাকায় তার চিংড়ি খামারে লুকিয়ে রাখতেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com
All rights reserved © 2017-2024 Daily Crime Bangla