মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন।।
কক্সবাজার জেলার উখিয়া টিভি টাওয়ার সংলগ্ন বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে প্রান প্রকৃতি ও সবুজের সমারোহে রেডিয়েন্ট গার্ডেনে বাড়ছে পর্যটক আকর্ষণ।
নান্দনিক এ গার্ডেনে রয়েছে কৃষি অথবা, হর্টিকালচার, গবাদিপশু পালন,মৎস্য খামার,কুটির শিল্প, পর্যটন কেন্দ্র ও সেবামূলক বহুমাত্রিক কার্যক্রম। অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি পর্যটন স্পট হিসাবে এই মিশ্র প্রজাতির গার্ডেন এ মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে উঠা এই খামারটির সুনাম দেশের গুণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে ও ছড়িয়ে পড়েছে। তাই প্রতিনিয়ত প্রচুর পর্যটক ও দর্শনার্থীদের ভিড়ে মূখরিত হচ্ছে এই অঙ্গন।পর্যটন নগরী কক্সবাজার থেকে মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে উখিয়ার কুতুপালং বিটিভি স্টেশনের বিপরীতে প্রধান সড়কের পার্শ্ববর্তী ৭৫ একর উচুনীচু ঢালু ভূমিতে অবস্থিত রেডিয়েন্ট গার্ডেন।রেডিয়েন্ট বিজনেস কনসোটিয়াম লিমিটেড কোম্পানি কক্সবাজার পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তের অভ্যন্তরে পাখির কলকাকলীতে মূখরিত নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আঁধার এই রেডিয়েন্ট গার্ডেন হচ্ছে উল্লেখিত কোম্পানির একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
তাই প্রতি শুক্র শনিবার এই গার্ডেনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঢল নামে পর্যটকের। কক্সবাজারের নিকটবর্তী পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমঘুমের রেডিয়েম্ট গার্ডেন ভ্রমণ করছেন কক্সবাজারে আসা শতশত পর্যটক ও গবেষক। অনেক প্রকৃতিপ্রেমীদের দেখা মিলে এই গার্ডেনে। এখানে শত প্রজাতির ফল, ফুলের বাগান যেমন শোভা বর্ধন করছে, তেমনি বনজ ও ঔষধী গাছে ভরপুর এই বাগান।আম,জাম, কাঠাল, পেয়ারা,জাম্বুরা আনারস, জলপাই, লেবু, ড্রাগন, কামরাঙ্গাসহ নানা জাতের ফল, ফুল ঔষধী গাছ, বনজ ও বাঁশঝাড় মিলেমিশে একাকার সবুজের বনায়ন।সুপেয় পানির উৎস ও লেকের মিঠা পানিতে হচ্ছে পরিকল্পিত মাছ চাষ।এর পাশাপাশি জনসেবা, বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবার ব্রত নিয়ে স্থানীয়দের স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে রয়েছে এ প্রতিষ্টানের বহুমূখী কর্মতৎপরতা। যা স্থানীয় হতদরিদ্র মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের ঠিকানা হয়ে উঠেছে এই রেডিয়েন্ট গার্ডেন।
রেডিয়েন্ট গার্ডেনের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আয়ের উৎসকে প্রাধান্য দিয়ে মুনাফা অর্জন করা মোটেও এ প্রতিষ্টানের মূল উদ্দেশ্য নয়।তিনি আরো জানান, এ প্রতিষ্টানের পক্ষ থেকে ঘুমঘুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের জন্য এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সুবিধার্থে তিনটি পুলিশ বক্স,নির্মাণ ও একটি পিকআপভ্যান উপহার দেয়া হয়েছে। পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রেডিয়েন্ট গার্ডেন অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে তিনটি মাদ্রাসা ও একটি মসজিদ রয়েছে বিশাল বিনোদন পার্ক। আছে রেষ্টহাউস ও বিশ্রামাগার, নির্মাণ করা হয়েছে রোহিঙ্গা ট্রানজিট ক্যাম্প,তাছাড়া রয়েছে সুপরিসর হলরুম।
প্রতি বছর ঈদুল ফিতরের পূর্বে পার্শ্ববর্তী এক হাজার পরিবারের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ, ঈদুল আজহার সময় দূস্থ এক হাজার পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয় গরুর মাংস। বন্যা ও দুর্যোগ কবলিত এলাকায় খাবার, বস্ত্র, গ্যসের চূলা, সিলিন্ডার বিতরণ করা হয়।দরিদ্র পরিবারের অসহায় মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ,শীতকালে শীত বস্ত্র বিতরণ,অসহায় যুবতী নারীদের বিয়ের জন্য পর্যাপ্ত সাহায্য প্রধান, দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহন,গরীব মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা ভাতা প্রদান,মসজিদ, মাদ্রাসা সমূহে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দান এবং সর্বপরি পথ যাত্রী ও পর্যটকদের জন্য সূপেয় পানির একধিক কল উম্মুক্ত করে রাখা আছে রাস্তার দ্বারে।
কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের একদল সাংবাদিক রেডিয়েন্ট গার্ডেন পরিদর্শনে গেলে গত ১৫ অক্টোবর রেডিয়েন্ট গার্ডেনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মশিউর আলম লিটন বর্তমান ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় কয়েকজন স্থানীয় যুবক নারী ও শিশু পর্যটকের সাথে কথা হয়।তারা রেডিয়েন্ট বিজনেস গার্ডেনের নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত হন।প্রকাশ করেন তাদের স্বস্ব অনুভূতি মূখরিত।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com