মোঃ নাহিদুল হক,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের মানবিক শিক্ষক হিসেবে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম। ২০২২ সনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই এ কলেজে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষকদের
ক্লাসে পাঠদানে মনোযোগী করা, ছাত্রীদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সফলতা অর্জন করেন। অভিভাবকদের সাথে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রেখে কলেজে ছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি করে ছাত্রীদের
ড্রেস,বই,খাতা কিনে দিয়ে এবং গরীব মেধাবীদের আর্থিক সহযোগিতা করে ব্যাপক সুনাম লাভ করেছেন। এছাড়া জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ও বঙ্গবন্ধু মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় ২০২২ থেকে ২৩ সাল পর্যন্ত পর্যায় ক্রমে ছয়, আট, দুই, চার, তিনটি বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলায় প্রথম স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করেন।
তার যোগদানের বছর ২০২২ সালে সমগ্র উপজেলা ভিত্তিক কলেজের রেজাল্টে কলাপাড়া মহিলা কলেজ প্রথম স্থান অধিকার করে।
অপর দিকে,কলেজ ক্যাম্পাসে ধূমপান, শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ন পাঠদানের সময় অনুপস্থিতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে কলেজ শিক্ষক আবুল কালামের বিরুদ্ধে। তবে এতোকিছুর পরেও আলোচিত এই কলেজ শিক্ষককেই এবার ঐতিহ্যবাহী কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রী কলেজ’র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত করতে নির্দেশ প্রদান করেছেন উচ্চ পর্যায়ের কর্তারা। গত ১৭ অক্টোবর মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তপন কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশ প্রদান করা হয়। ফলে ওই প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক মহল জুড়ে এখন সমালোচনার ঝড় বইছে। তারা বলছেন, বিতর্কিত এই কলেজ শিক্ষককে জেষ্ঠ পদে
আশিন করতে যে সুপারিশ করা হয়েছে তা বাস্তবায়িত হলে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কলাপাড়া মহিলা কলেজের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। এছাড়া অধ্যক্ষের সাথে অসাদাচারণ’র দায়ে ৪ বছর সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন তিনি।
কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক পুলিন চন্দ্র হাওলাদার জানান, আমাদের এই শিক্ষককে নিয়ে আমরা খুবই ঝামেলায় রয়েছি। তিনি প্রতিষ্ঠানের কথা চিন্তা না করে শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করছেন। হঠাৎ করে এখন তিনি ভারপ্রাপ্ত পদে আশিন হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হুমায়ূন কবির জানান, সম্প্রতি পাঠদান চলাকালীন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধূমপানের অভিযোগ দিয়েছিল ছাত্রীরা। পরে তাকে লিখিত ভাবে অবহিত করা হয়েছে। আর অফিশিয়াল ভাবে আমি মাউশি অধিদপ্তরের কোন চিঠি পাইনি। পেলে অবশ্যই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহনের চেষ্টা করবো।
এবিষয়ে কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম জানান, বাংলাদেশ বে-সরকারী কলেজ অধিদপ্তরের যে পরিপত্র রয়েছে সে নিয়মানুযায়ী আমি সঠিক অবস্থানে রয়েছি। আর উর্ধতন কর্তৃপক্ষ যে সিন্ধান্ত গ্রহন করবেন তাতে আমি শ্রদ্ধা জানাই।তবে শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক তপন কুমার দাস জানান, আবুল কালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং বরখাস্ত থাকার বিষয়গুলো আমাদের জানা নেই। তবে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে।প্রয়োজন হলে নতুন করে নির্দেশ প্রদান করা হবে। তবে এসব অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে কলেজ শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এসব ষড়যন্ত্র করছেন। আমার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com