পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ভাজা মাছের চাহিদা পর্যটকদের কাছে দিনদিন বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে।চাহিদার পাশাপাশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভাজা মাছের বাজার।তাই নতুন নতুন নারী পুরুষ যুক্ত হচ্ছে এ পেশায়।এ অবস্থায় অস্বাস্থ্যকর, অনিরাপদ পরিবেশে পঁচা বাসি মাছে ক্যমিকেল মিশিয়ে পর্যটকদের কাছে বিক্রি করছে ভাজা মাছ বিক্রেতারা। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দফায় দফায় ভ্রাম্যমান অভিযান চালিয়ে ও ঠেকানো যাচ্ছেনা ভাসমান ভাঁজা মাছ বিক্রেতাদের তৎপরতা।
তাই শহরের একটি অভিজাত হোটেলের হলরুমে দিনব্যাপী আয়োজন করা হয় সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাজা মাছ বিক্রেতা নারী পুরুষদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দিনব্যাপী কর্মশালায় পর্যটন শহর ও সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাজা মাছ বিক্রেতা নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেছেন।
কোস্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত প্রশিক্ষণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বিভিন্ন ধরণের মাছ কাটার কৌশল, স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খাবার তৈরি ও রুচিসম্মত পরিবেশন কৌশল হাতেকলমে শেখানো হয়েছে।
মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে কক্সবাজার অঞ্চলে ফিশ ফ্রাই ব্যবসার বর্তমান অবস্থা, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যত, হাইজিন এবং হাউসকিপিং সম্পর্কে ধারণা প্রদানের পাশাপাশি নতুন এবং প্রচলিত বিভিন্ন ধরণের স্ট্রিটফুড সম্পর্কে ধারণা দেন প্রকল্প সহকারী মামুনুর রশীদ।
প্রেজেন্টেশনে জানানো হয়, খাদ্যের উপরিভাগ উজ্জ্বল ও চাকচিক্য করার জন্য খাদ্যোপযোগী পদার্থের মাধ্যমে যে আবরণ দেওয়া তাকে 'ফুড ল্যাকার' বলে।এই ফুড ল্যাকার নিষিদ্ধ, আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
'কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে স্বাস্থ্যসম্মত স্ট্রিট ফুড বিক্রয়ের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের আয় বৃদ্ধি' শীর্ষক ভ্যালু চেইন উন্নয়ন উপ-প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রকল্প সমন্বয়ক ইমরান ইবনে জাকিরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় একাউন্টেন্ট কাম এমআইএস অফিসার নুর কামালসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প ফোকাল হিসেবে রয়েছেন কোস্টের উপপরিচালক বারেকুল ইসলাম চৌধুরী।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসেন। তারা সমুদ্র দেখার পাশাপাশি সমুদ্রের তাজা-ভাজা মাছ খেতে বেশ স্বাচ্ছন্দবোধ করে। টাটকা মাছের তৈরি বিভিন্ন খাবার অন্যতম পছন্দ পর্যটকদের।
কক্সবাজার শহরে ৭০ জন মতো ফিশ ফ্রাই ব্যবসায়ী রয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০ জন প্রশিক্ষণ পেয়েছে। তাদের মধ্য থেকে ২ জনকে সোলার প্যানেলসহ অন্যান্য সুবিধা সম্বলিত ভ্যান গাড়ি দিয়েছে কোস্ট ফাউন্ডেশন। পর্যায়ক্রমে সবাইকে এই সুবিধার আওতায় আনা হবে বলে জানান, কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।