কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। কয়লা ও গ্যাসসহজী বাশ্ম জ্বালানিতে
বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বিশ্ব নিশ্চিত
করার দাবিতে প্রতিকি অবস্থান কর্মসূচি ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রæপ ফর ইকোলোজি এন্ড ডেভেলপমেন্ট, কোস্টাল লাইভলিহুড
এন্ড এনভার্মেন্টাল একশন নেটওয়ার্ক, প্রান্তজন এবং আমরা কলাপাড়াবাসী এরযৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার কলাপাড়া প্রেসক্লাব চত্তর থেকে র্যালিটি বের হয়।
র্যালিটি শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয় এবং শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে প্রতিকী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিতে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক প্রদর্শন করা হয়। প্রদর্শন করা হয় বিভিন্ন ধরনের লেখা সংবলিত
ফেস্টুন। এ সময় পিপিই ও মাস্ক পড়ে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের বায়ু ও পরিবেশ দূষণের ভয়াবহতা প্রতিকি তুলে ধরা হয়।
বিগত বছরগুলোর মতো এ বছরও জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন কর্মকাঠামো সনদ
(টঘঋঈঈঈ)-এর উদ্যোগে আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে 'কপ-২৮' অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ
সম্মেলনের প্রকৃত নাম 'জলবায়ু সনদে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রীয় পক্ষসমূহের সম্মেলন' (ঈড়হভবৎবহপব ড়ভ চধৎঃরবং) বা 'কপ' হলেও সাধারণভাবে 'জাতিসংঘ
জলবায়ু সম্মেলন' নামে প্ররিচিত। ১৯৯২ সালের ধরিত্রী সম্মেলনে জাতিসংঘ জলবায়ু সনদ গৃহীত হবার পর ১৯৯৫ সালের মার্চে জার্মানির বার্লিন শহরে
প্রথম সম্মেলন (ঈঙচ) অনুষ্ঠিত হয়। দুবাই সম্মেলনটি ২৮তম জলবায়ু সম্মেলন বিধায় একে 'কপ-২৮' বলা হয়।
১. ২০৩০ সালের মধ্যে শিল্পোন্নত দেশগুলোর কার্বন নির্গমন ২০০৫ সালের তুলনায় কমপক্ষে ৩০ শতাংশ কমাতে হবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য নির্গমন
নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে 'নেট জিরো' নয়, প্রকৃত' 'শূন্য নির্গমন'
চাই।২. উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশ নির্বিশেষে ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র ওশিল্পখাতে কয়লার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে কার্বন ধারণ ও সংরক্ষণ
(ঈধৎনড়হ ঈধঢ়ঃঁৎব ধহফ ঝঃড়ৎধমব) বা সিসিএস প্রযুক্তি ব্যবহারের দোহাই দেয়া যাবে না।৩. জীবাশ্ম গ্যাস (এলএনজিসহ) ও প্রেট্রোলিয়ামে অর্থায়ন ও প্রযুক্তি
সরবরাহ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। রূপান্তরকালীন জ্বালানির নামে এলএনজি'রসম্প্রসারণ বন্ধ করতে হবে।৪. স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিপদাপন্ন জনসাধারণের জলবায়ু অভিযোজনের জন্য সরাসরি অর্থায়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে হবে।
৫. এলএনডি তহবিলে ঋণ কিংবা বেসরকারি বিনিয়োগ নয়, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য
ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এলএনডি তহবিলে বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য অর্থলগ্নিকারী
প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্তি নিষিদ্ধ করতে হবে।
৬. বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দ্রুত ও ন্যায্য
জ্বালানি রূপান্তরের জন্য শিল্পোন্নত দেশগুলো থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের
মাধ্যমে জাতীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে এবং সহজ অর্থায়নের মধ্য দিয়ে
নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলতে হবে।
৭. শিল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে জিসিএফ-এ প্রতি বছর ১০ হাজার
কোটি ডলার দিতে হবে যাতে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জলবায়ু-ঝুঁকি
মোকাবেলায় পর্যাপ্ত অর্থায়ন নিশ্চিত হয়।
৮. জিসিএফ থেকে চরম বিপদাপন্ন স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের অভিযোজনে
অধিকতর গুরুত্বারোপ করতে হবে। এছাড় এসব দেশে জ্বালানি খাতে ন্যায্য
রূপান্তরে অর্থায়ন করতে হবে।
৯. জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাধ্যতামূলক বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে 'জলবায়ু
উদ্বাস্ত' ঘোষণা করে স্বাধীন ও সম্মানজনক অভিবাসনের অধিকার দিতে হবে।
১০. ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ মিথেন হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের
ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে
কৃষিখাতকে এ লক্ষ্যমাত্রার বাইরে রাখতে হবে। এবং
১১. শিল্প, পরিষেবা ও বাণিজ্যসহ সকল খাতে সবুজ রূপান্তরের জন্য স্পষ্ট ও
বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com