প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২৯, ২০২৫, ৪:৪৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৪, ১২:০২ পি.এম
কক্সবাজারে পর্যটকদের জন্য বিলাসবহুল কাঠের নৌকা স্বপ্নতরীর যাত্রা শুরু/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।
মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন।।
পর্যটনে অপার সম্ভাবনার সমুদ্রশহর কক্সবাজার। এতদিন যেখানে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কিংবা সেন্টমার্টিন দ্বীপ কেন্দ্রিক পর্যটন বিকশিত হলেও প্রত্যাশিত বিকাশ ঘটেনি নদী ভিত্তিক পর্যটন কিংবা নৌপর্যটনের। তবে এবার কক্সবাজারে নদী ভিত্তিক পর্যটন ও নৌপর্যটনের নতুন দ্বার উন্মুক্ত করেছে কাঠের তৈরি বিলাসবহুল নৌকা 'স্বপ্নতরী'। যাতে যাত্রী হয়ে ঘুরে বেড়ানো যাবে মহেশখালী, সোনাদিয়াসহ, শাপলাপুর উপকূল। যাত্রাপথে ঘন প্যারাবন, গাঙচিল ও মাছের চোখে উপকূল দেখার অনুভূতিতে মোহিত হবেন যে কেউ।
অপরুপ কারুকাজে তৈরি বিলাসবহুল এ নৌযান ঘিরে ইতোমধ্যে পর্যটক ও স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। শুক্রবার বিকেলে নৌযানটির যাত্রা শুরু হলো কক্সবাজারের প্রধান নদী বাঁকখালীতে। স্বপ্নতরীতে চড়ার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ৮০ ফুট দীর্ঘ ও ২০ ফুট প্রস্থের ‘স্বপ্নতরী’ বানাতে সময় লেগেছে প্রায় ২০ মাস। আর এতে ব্যবহার করতে হয়েছে ৬ হাজার ঘনফুটের বেশি কাঠ। যুক্ত করা হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির ইঞ্জিন ও জেনারেটর। যা উত্তাল সমুদ্রও পাড়ি দিতে সক্ষম।
এমভি স্বপ্নতরীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর জানিয়েছেন, কাঠের তৈরি নৌযানটির ধারণ ক্ষমতা ১৪৬ জন। এটি প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত নুনিয়ারছড়া ঘাট হয়ে যাত্রা শুরু করে মহেশখালীর সোনাদিয়া, শাপলাপুর পয়েন্ট ঘুরে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট হয়ে ঘাটে ফিরে আসবে। আর সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত র্বাকখালী নদীর কস্তুুরা ঘাট নতুন ব্রিজ পার হয়ে আবার নাজিরারটেক নতুন এয়ারপোর্ট রানওয়ে হয়ে মহেশখালীর আশে-পাশে ঘুরে ঘাটে ফিরবে। দিনের যাত্রায় জনপ্রতি খরচ পড়বে ১৬০০ টাকা। আর সন্ধ্যার যাত্রায় ২ হাজার। দুপুরে ও রাতে স্বপ্নতরীতে থাকবে নানা পদের খাবারের আয়োজন।
তিনি জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য নৌযানটিতে পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট, লাইফ বয়া ও অর্গ্নি নির্বাপক সরঞ্জাম মওজুদ রাখা হয়েছে।নৌযান খাতে এমন বিনিয়োগকে কক্সবাজারে উপকূল ঘিরে নৌ-পর্যটন বিকাশের অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ বলে মনে করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, 'শুধু সমুদ্র সৈকত নয়, পুরো কক্সবাজার উপকূল ঘিরে নৌ-পর্যটন বিকাশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বপ্নতরীর মতো নান্দনিক নৌযান পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে নি:সন্দেহে। এটির মাধ্যমে নৌপর্যটনের বিকাশের একটি নতুন দিক উন্মোচিত হলো। বাঁকখালী, মাতামুহুরির মতো নদীগুলো ড্রেজিং করে নাব্যতা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রকৃতিপ্রেমি পর্যটকদের জন্য এ ধরনের আরও নৌযানের ব্যবস্থা করার সুযোগ রয়েছে। এ ধরনের বিনিয়োগ আরও বাড়ানো দরকার। এ ক্ষেত্রে সরকারের আরও পৃষ্ঠপোষকতা থাকা দরকার।'
গতকাল স্বপ্নতরীর উদ্বোধনী যাত্রায় সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মাহাফুজুল ইসলাম, সহকারি পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র নুরুল আবছার, জেলা জাসদ সভাপতি নাইমুল হক চৌধুরী টুটুল প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com
All rights reserved © 2017-2024 Daily Crime Bangla