মোঃ বেল্লাল হোসাইন নাঈম,স্টাফ রিপোর্টার।।

জোড়ালাগা যমজ সেই শিশু (কনজয়েন্ট টুইন বেবি) মায়মুনা ও মরিয়মের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম। নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহিম।

এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি 'জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম, চিকিৎসা নিয়ে বিপাকে পরিবার' শিরোনামে দৈনিক পত্রিকায় একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়। গণমাধ্যমে এই শিশুদের সংবাদ দেখে ইব্রাহিম এমপি শিশু দুটির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার ব্যাপারে সব ধরণের সহায়তা দিবেন বলে জানান।
গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এইচ এম ইব্রাহিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মায়মুনা ও মরিয়মের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। ইব্রাহিম বলেন, 'মানবিক জায়গা থেকে আমি এই শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে সব ধরনের সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ। আমার বাবা মায়ের নামের ট্রাস্টে প্রায় ২ শত কোটি টাকার উপরে সম্পদ ছিল। সকল সম্পদ আমরা মানুষের কল্যাণে দান করেছি। আমি সব সময় জনগণের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই।'

এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি (শুক্রবার) ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ছোট অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে জন্ম হয় এই শিশু দুটির। মুন্সিগঞ্জের ভাটারচরে একটি কাপড়ের মিলে স্বল্প বেতনে দিনমজুরের কাজ করা বাবা মো. শাহানুর ইসলাম জন্মের পর থেকে তাদের পেছনে যে টাকা খরচ হয়েছে, সেই টাকা যোগাড় করতেই হিমশিম খাচ্ছিলেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আশরাফ উল হক কাজল বলেন, 'দুজন শিশুর মধ্যে একজনের অবস্থা বেশি ভালো না। ওর স্বাস্থ্য-শরীর এগুলো অসম্পূর্ণ, অপুষ্ট। আরেকজন মোটামুটি হেলদি আছে। আমরা ইনভেস্টিগেশন করছি, আমাদের দিন দশেক সময় লাগবে। পরীক্ষা নিরীক্ষার রিপোর্ট পেলে তারপর আমরা মেডিকেল বোর্ড করবো। অপুষ্টির ব্যাপারে আমরা শিশু বিভাগে কথা বলেছি। উনাদের পরামর্শ মতো কি করে ওজন বাড়ানো যায়, শারীরিক অবস্থার উন্নতি করা যায়; সেটার চেষ্টা করবো।'

শিশু মায়মুনা-মরিয়মের মা আফরোজা সুলতানা মেঘলা নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় বদলকোট ইউনিয়নের উত্তর বদলকোট গ্রামের দরগা বাড়ির মাহবুব আলমের মেয়ে আর বাবা মো. শাহানুর ইসলামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলায়।

শিশুদের বাবা মো. শাহানুর ইসলাম বলেন, 'দুই দিন আগে এমপি স্যারের পরামর্শে শিশু দুটিকে ঢাকায় নিয়ে এসেছি। তিনি সরাসরি এসে আমাদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। যেকোনো ধরণের সমস্যায় পড়লেও জানাতে বলেছেন। তিনি আমাদেরকে খরচের জন্যও নগদ টাকা দিয়েছেন। আমি বাচ্চাদের সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।'