মোঃ বেল্লাল হোসাইন নাঈম,স্টাফ রিপোর্টারঃ
পবিত্র রমজানের সেহরি ও ইফতার কোন কিছুই লোডশেডিং থেকে বাদ পড়ছে না। শিশু থেকে বৃদ্ধ অসুস্থ্য মানুষ ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে রাতে কিংবা দিনে পরিপূর্ণভাবে ঘুমাতে পারছে না। গরমের অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মানুষ। অথচ দেখার কেউ নেই! উপজেলা বাসীকে এই লোডশেডিং এর নাকাল থেকে রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসছে না।
প্রতিদিন ১০-১৫ বার লোডশেডিং হচ্ছে। চৈত্র মাসের শেষের প্রচণ্ড গরমে চাটখিলের মানুষ অতিষ্ঠ। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিটি গ্রামে সমানতালে চলছে লোডশেডিং।
উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন ও চাটখিল পৌরসভার সকল ওয়ার্ডে কি পরিমান লোডশেডিং হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কয়েকদিন আগে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিপাতের কারণে কোন কোন এলাকা তিন দিন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ছিল। প্রবল বৃষ্টিপাতের সময় আবহাওয়া কিছুটা শীতল ছিল কিন্তু এলাকাবাসী ছিল বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায়।
চাটখিলের মত নোয়াখালীর আর কোথায় ও বিদ্যুতের এত সমস্যার খবর পাওয়া যায় না।
চাটখিলের বিদ্যুতের সমস্যার বিষয় জানার জন্য নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহা ব্যবস্থাপক (জিএম) এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও অপর প্রান্ত থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। এ রিপোর্ট লেখার সময় চাটখিল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ মহা ব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এর মন্তব্য নেওয়ার জন্য বারবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
নোয়াখালীর অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র চাটখিল বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তারা অনেক ঋণ করে দোকানে পুঁজি বিনিয়োগ করেছেন, কিন্তু লোডশেডিং এর ভয়াবহতা ও প্রচন্ড গরমের কারণে ক্রেতা শূন্য প্রায়। তারা রীতিমত হতাশায় ভুগছেন।
একাধিক রোজাদার মুসল্লী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পবিত্র রমজানের মাসে মানুষ যখন আল্লাহর রহমতের আশা একাগ্রচিত্তে ইবাদত করবে এবং সেহরি ও ইফতার করবে তখন চাটখিল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জালিম গুলো বিদ্যুৎ নিয়ে যায়। চাটখিলের সাধারণ জনগণ বলেন আমরা বিদুতের লোডশেডিং এর ভেল্কিবাজি থেকে বাঁচতে চাই, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চাই।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com