তাঁর সরকার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মান করায় আজকে পদ্মার ওপারেও বিশাল কর্মক্ষেত্র উন্মুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মার ওপারে যে জেলা বা ইউনিয়নগুলো রয়েছে সেখানকার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে। সেখানেও বিনিয়োগের বিরাট সুযোগ এসে গেছে। এসব এলাকায় ‘এসএমই’ (ফাউন্ডেশন) আরো বেশি কাজ করতে পারে এবং এখানে অনেক উদ্যোক্তার সৃষ্টি করতে পারেন।
তিনি শিল্পক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমরা আরো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে মাথায় রেখে আমাদের আরো উদ্যোক্তা এবং কাজের লোক প্রয়োজন পড়বে। আমাদের দেশের মানুষকে কাজ দিতে হবে।
তিনি বলেন,‘আমরা যখন পদক্ষেপ নেব সে সময় বিশেষ করে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এসএমই ফাউন্ডেশনকে খেয়াল রাখতে হবে যে শ্রমঘন শিল্প যেন আমাদের দেশে গড়ে ওঠে।’
শ্রমবান্ধব কর্মপরিবেশ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, শ্রমিকদের বিষয়ে সকলকে আন্তরিক হতে হবে। আপনি যদি বেশি কাজ চান তাহলে তাদেরকে সেই কর্মপরিবেশ তৈরী করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘শুধু হুকুম দিয়ে হয়না। হুকুম দিয়ে যা অর্জন করতে পারবেন, ভালবাসা দিয়ে পারবেন তারচেয়ে অনেক বেশি। আস্থা-বিশ^াস অর্জন করে আরো বেশি আপনি কাজ করিয়ে নিতে পারবেন। সেদিকে অবশ্যই সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে।’
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা যে সুবিধাগুলো দিচ্ছি সেটা তাদের (নারী) গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে আমাদের নারীদের আরো বেশি উদ্যোক্তা হতে হবে।
বিশেষ করে যাতে সকলে (নারী-পুরুষ) যৌথভাবে কাজ করতে পারে সে ব্যবস্থাটা আমাদের করতে হবে।
তাঁর সরকার এ বছর ‘হস্তশিল্প’কে বর্ষ্যপণ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে উল্লেখ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে হস্তশিল্পের ব্যবহারের প্রসংগ টেনে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সুপ্ত মেধা বিকষিত হবার একটি সুযোগ লাভ করে। সেজন্যই তাঁর সরকার একে বেশি সুযোগ দিচ্ছে। বিদেশে এর আলাদা কদর রয়েছে। কাজেই রপ্তানী বহুমুখিকরণ করার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার যাতে সৃষ্টি হয় সেজন্য দারিদ্র বিমোচন করে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে দৃষ্টি রেখে তাঁর সরকার অর্থনৈতিক নীতিমালা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন,এসএমই খাতের উন্নয়নে আমাদের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের পাশাপাশি উন্নত বিশে^ ভোক্তাদের চাহিদানুযায়ী শতভাগ রপ্তানীমুখি পণ্য উৎপাদনে আরো মননিবেশ করতে হবে। কেননা এখন ইকোনমিক ডিপ্লোমেসির যুগ। সে ভাবেই বহি:বিশে^ আমাদের দূতাবাসগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। যে যেখানে অবস্থান করছেন সেখানকার চাহিদানুযায়ী পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার প্রচেষ্টা এবং বিনিয়োগ নিয়ে আসার প্রচেষ্টার ওপরও জোর দেন তিনি।
আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশবাদ ব্যক্ত করেন, এই এসএমই পণ্য মেলার মাধ্যমে দেশের মানুষেরা আরো জানতে পারবে এবং উৎসাহিত হবে। আরো উদ্যোক্তা তৈরী হবে এবং এই মেলার মাধ্যমেই আমাদের এসএমই ফাউন্ডেশন আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। ফলে বিদেশে পণ্য রপ্তানী আরো বাড়ানো সম্ভব হবে এবং দেশেও আরো কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন,‘আমার বিশ^াস দেশীয় এসএমই শিল্পের উন্নয়নে এই মেলা ক্রমান্বয়ে আন্তর্জাতিক মাত্রা পাবে এবং এরফলে দেশীয় পণ্যের প্রসারও ঘটবে। নতুন নতুন শিল্প স্থাপন,কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে বলেও আমি বিশ^াস করি।’
তিনি বলেন,আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা যারা তাদের প্রতিই আমি মনে করি বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ তারাই একসময় বড় শিল্পে পরিণত হবে
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com