মাইদুল ইসলাম শফিক।।
বরিশালের কোতায়ালী মডেল থানাধীন ২০নং ওয়ার্ড বৈদ্যপাড়া "মাতৃছায়া" নামক বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলা বি-২ ইউনিটের বাসার জানালার গ্রিল কেটে প্রায় এগারো ভরি স্বর্ণালংকার যাহার মুল্য ১২,৩০০০০/- নগদ টাকা ১০,৫০০০/- সর্বমোট ১৩,৩৫.০০০/- তের লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা ও বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরির ঘটনায় এজাহার দায়ের হয়েছে।
মোঃ সৈয়দ সাইফুর রহমান আলিম বাদী হয়ে (১৬ সেপ্টেম্বর) বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় গিয়ে অজ্ঞাতনামা এজাহারটি করেন। বিষয়টি দৈনিক ক্রাইম বাংলা কে নিশ্চিত করেছেন এজাহারে তদন্ত কারী কর্মকর্তা (এসআই)মোহাম্মদ শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, এজাহারটি ১৬ সেপ্টেম্বর সৈয়দ সাইফুর রহমান আলিম দায়ের করছেন। এ ঘটনায় কাউকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। তবে এজাহার তদন্ত চলমান রয়েছে।
এজহারে বলা হয়েছে, আমি মোঃ সৈয়দ সাইফুর রহমান আলিম, পিতা সৈয়দ সিরাজুর রহমান, মাতা ফাতেমা বেগম, থানায় হাজির হইয়া অজ্ঞাত নামা চোর/চোরদের বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দাখিল করেতেছি যে, আমি একজন ব্যবসায়ী। আমি স্ব-পরিবারে স্ত্রী সন্তানসহ বর্ণিত ঠিকানায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসিতেছি। গত ১৫/৯/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৬.৩০ ঘটিকার সময় আমার স্ত্রী আমার উক্ত ভাড়াটিয়া ভাষার মূল দরজা তালাবদ্ধ করিয়া আমার ছেলে-মেয়েকে প্রাইভেট পড়ানোর উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। প্রাইভেট পড়া শেষে আমার স্ত্রী ছেলে-মেয়ে সহ সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে সাত ঘটিকার সময় পুনরায় বাসায় আসিয়া দরজার তালা খুলিয়া ভেতরে প্রবেশ করে দেখিতে পায় বাসার মধ্যে থাকা বিভিন্ন মালামাল ও আসবাবপত্র এলোমেলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে এবং আমার শয়ন কক্ষে থাকা স্টীলের আলমারির তালা ভাঙ্গা ও দরজা খোলা। উক্ত আলমারির মধ্যে রক্ষিত থাকা স্বর্নালংকার ও নগদ টাকা নাই। আমার স্ত্রীর ডাক চিৎকার শুনিয়া অন্যান্য ভাড়াটিয়া সহ আমি স্থানীয় লোকজনসহ দ্রুত বাসায় চলে আসি। অতঃপর খোঁজখবর নিয়া দেখিতে পাই আমার ভাড়াটিয়া বাসার পাশের মালিকের ফ্ল্যাটের বেলকনি ও জানালার গ্রিল কাটা এবং আমার ইউনিটের মাঝের রুমের দরজা ভাঙ্গা।
বিষয়টি আমার প্রতিবেশী অন্যান্য ভাড়াটিয়া সহ আত্মীয় স্বজনদের সাথে আলোচনা করিয়া বুঝতে পারি আমার বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে ২৫/৯/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৬.৩০ ঘটিকা থেকে সন্ধ্যা অনুমান ৭.৩০ ঘটিকা মধ্যে চোর/চোরেরা কোতায়ালী মডেল থানাধীন ২০নং ওয়ার্ড বৈদ্যপাড়া "মাতৃছায়া" নামক বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলা বি-২ ইউনিটের মধ্যে সঙ্গোপনে প্রবেশ করিয়া আমার স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা চুরি করে নিয়া গিয়াছে। উক্ত বিষয়ে আমি থানায় ১৬ সেপ্টেম্বর এজাহার দাখিল করার পর দায়িত্বরত কর্মকর্তা ১৭ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক তথ্য বিবরণী পেশ করার পর ও অর্ধ পর্যন্ত প্রায় ১৫-২০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও দায়িত্বরত কর্মকর্তা এখনো কোনো আসামি ও চুরি হওয়া মালামাল এর কোন সন্ধান বের করতে পারেননি। তবে আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বলতে চাই তারা চেষ্টা করলে আমি আমার জিনিস পত্র ফিরে পাওয়া সহ আসামি গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com