কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। সিসা দূষণ প্রতিরোধে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় সচেতনতামূলক র্যালি ও মানববন্ধন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সিসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে শনিবার দুপুুরে ইয়ুথ নেট গেøাবাল ও পিওর আর্থ বাংলাদেশ এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে আগত পর্যটক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ট্যুরিস্ট পুলিশ সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন।
আয়োজকরা বলেন, সিসা একটি বিষাক্ত ভারী ধাতু যা সকলের জন্যই ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের জন্য। সিসা শিশুর মস্তিস্ক ধ্বংস করে ফলে, শিশুর বুদ্ধিমত্তা কমে যায়, পড়ালেখায় পিছিয়ে পরে, শারীরিকভাবে বেড়ে ওঠায় বাধাসহ নানান সমস্যা দেখা দেয়। বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ শিশু অর্থাৎ প্রায় ৬০ শতাংশ শিশু সিসা বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত। আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করি এমন অনেক জিনিসপত্রে অ্যালুমিনিয়াম ও সিরামিকের বাসনপত্র, দেয়াল রং, বাচ্চাদের খেলনা ইত্যাদিতে সিসা মেশানো থাকতে পারে। এছাড়াও অনিরাপদে, খোলা জায়গায় সিসা-অ্যাসিড ব্যাটারি ভাঙ্গা ও সিসা গলানোর রিসাইক্লিং কারখানা থেকে সিসা দূষণ ছড়ায়। ২০শে অক্টোবর থেকে ২৬শে অক্টোবর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সিসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষ্যে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে ইয়ুথ নেট গেøাবালের জেলা সমন্বয়ক মো.জাহিদুল ইসলাম সিসা প্রতিরোধে ৫ টি দাবি তুলে ধরেন। দাবি গুলো হলো-ভোগ্যপণ্য ও নিত্য ব্যবহৃত পণ্যে (যে মন অ্যালমুনিয়ামের রান্নার বাসনপত্র, দেয়ালের রং, শিশুদের খেলনা) সিসার মিশ্রণ বন্ধ করা, পণ্যের নিরাপদ মানদন্ত ও কঠোর মনিটরিং নিশ্চিত করা, দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা অনিরাপদ সিসা অ্যাসিড ব্যাটারি কারখানা বন্ধ বা রূপান্তর করে নিরাপদ রিসাইক্লিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা, অবৈধ সিসা ব্যাটারি কারখানার কারণে দূষিত এলাকাগুলো চিহ্নিত করে মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা এবং সিসা দূষিত অঞ্চল গুলো পরিষ্কার করা, সিসা দষূণ প্রতিরোধে বিদ্যমান আইন পর্যালোচনা ও প্রয়োজনে নতুন আইন প্রণয়ন এবং জনসচেতনতা বদ্ধিৃর মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষা করা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com