মাইদুল ইসলাম শফিক, বানারীপাড়া ::
বরিশালের বানারীপাড়ায় অসাধু জেলেরা বার বার অভিযান বোটে আক্রমন চালাচ্ছে।
২৯ অক্টোবর সহকারী কমিশনার ভূমি মুসতাহসিন তাসমিম রহমান অনিদ্র সন্ধ্যা নদীতে মোবাইল কোর্ট অভিযান চালান। এ সময় নয়াবাজার সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে জেলেদের জাল দেখতে পেয়ে জাল তুলতে থাকে। এক পর্যায়ে চারপাশ থেকে জেলেরা তেরে আসে ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় মৎস নিধন অভিযানে থাকা ৩ জন স্টাফ আহত হয়। এরপর স্থান ত্যাগ করে অভিযান কার্যক্রম বন্ধ করে ফিরে আসে অভিযান দল। থানা পুলিশ তাদের ব্রাকে চলে যাওয়ায় একা হয়ে পড়ে মৎস্য দপ্তর। নিরাপত্তা জনিত কারনে সাময়িক বন্ধ রেখে সকালে পুনরায় শুরু হয় অভিযান। দিনের বিভিন্ন সময়েও অভিযানের থাকা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপর আক্রমণের চেষ্টা করে জেলেরা।
বানারীপাড়া মৎস্য দপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ পরিকল্পনায় পরিচালিত মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে জেলেরা বিভিন্ন কলা কৌশল অবলম্বন করে জাল ফেললেও মৎস্য দপ্তরের চৌকস অফিসারের বুদ্ধিমত্তায় বিভিন্ন সময় ধরা পড়ছে প্রচুর জাল। ইতিমধ্যে ২ জনকে জেল ও ৩ জনকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং আরো ৪ জনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একজন প্রতিবন্ধী জেলেকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন রজনী জানান, কিছু অসাধু লোকজনের কার্যক্রমে বাধা গ্রস্থ হচ্ছে অভিযান কার্যক্রম। আমাদের স্টাফদের উপর বার বার হামলা হচ্ছে। তারপরও আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
জানাগেছে, বড় একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অভিযান কার্যক্রম বন্ধ করে মা ইলিশ শিকারই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। পুলিশ অভিযান ডিউটিতে অংশগ্রহণ করলেও তারাই নিরাপত্তা হীনতায় আছে বলে জানান।সিন্ডিকেটের তৎপরতায় মৎস্য কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে দিনের পর দিন । নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি জানায় কিছু অসাধু লোক তাদের স্বার্থ হাসিল করতেই মৎস্য অফিসের স্টাফদের উপরে অভিযান চলাকালীন সময়ে হামলা করছে।উল্লেখ্য উপজেলা মৎস্য অফিসের উপর হামলার নেপথ্যে কে বা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখার দাবি সাধারণ জনগণের।k
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com