মাইদুল ইসলাম শফিক, বানারীপাড়া ::
বরিশালের বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদীতে মা ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরার সময় অভিযানের ধাওয়ায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালাতে গিয়ে নিখোঁজ জেলে শহীদ শিকদারের (৭২) ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর ) রাত ১০ টার দিকে স্পীড বোট ও দুটি ট্রলার নিয়ে বানারীপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুসতাহসিন তাসমিম রহমান অনিদ্র’র নেতৃত্বে সন্ধ্যা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের টের পেয়ে শহীদ সিকদার ও নুরুদ্দীন নামের দুই জেলে পালিয়ে যেতে নদীতে ঝাঁপ দেন। ঝাপ দেয়ার প্রায় ৫০ ঘন্টা পর ৩১ অক্টোবর সকালে জাংগালিয়া এলাকার শহীদ সিকদারের মরদেহ ভেসে ওঠে। শহীদ সিকদারকে খুঁজে না পেয়ে তার পরিবারের লোকজন মাইকিং করাসহ নৌকা ও ট্রলার নিয়ে নদীর বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করতে থাকেন। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে চাখার ইউনিয়নের জাংগালিয়া গ্রাম সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে জেলেরা শহীদ সিকদারের ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে। বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের মসজিদ বাড়ীর ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ ফয়জর আলী সিকদারের ছেলে শহীদ সিকদার মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো। অভিযানের ভয়ে ওই সময় শহীদ সিকদার নদীতে ডুবে যান এবং সাঁতরে তীরে উঠতে গিয়ে বাক প্রতিবন্ধী নুরুদ্দীন ধরা পড়েন। পাশাপাশি কালির বাজারের জেলেরা এসিল্যান্ডের উপর হামলা চালায়। এসিল্যান্ডের উপর হামলা এবং ওই সময় শহীদকে নদীতে খুঁজে না পেয়ে নুরুদ্দীনকে নিয়ে অভিযান স্থগিত করে তীরে ফিরে যান। পরে তিনি বাক প্রতিবন্ধী নুরুদ্দীনকে স্থানীয় এক ব্যক্তি এবং তার মায়ের জিম্মায় ওইদিন রাত আনুমানিক ১ টার দিকে ছেড়ে দেন। লাশ দাফনের বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা. অন্তরা হালদার জানান, শহীদ সিকদারের পরিবার ময়না তদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের দাবি জানালে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে বানারীপাড়া থানার ওসি মো. মোস্তফা জানান,মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে তিনি ও ইউএনও জেলে শহীদ সিকদারের উপজেলার মসজিদবাড়ি গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় ও ময়না তদন্ত করতে না চাওয়ায় যথাযথ প্রক্রিয়ায় দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি ) মুসতাহসিন তাসমিম রহমান অনিদ্র জানান, ২৯ অক্টোবর রাত ৯ ঘটিকায় সন্ধ্যা নদীতে অভিযান চলাকালীন সময়ে মসজিবাড়ি এলাকায় স্পীড বোট ও দুটি ট্রলার নিয়ে গেলে ওই সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে ইলিশ শিকার করছিলেন শহীদ সিকদার ও নুরুদ্দীন নামের দুই জেলে। আমাদের টের পেয়ে শহীদ শিকদার ও নুরুদ্দিন পালানোর উদ্দেশ্যে নৌকা থেকে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এসময় বাক প্রতিবন্ধী নুরুদ্দীন ধরা পড়লেও শহীদ সিকদার নিখোঁজ হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com