ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি।।
পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের মাসুম বিল্লাহ ছোট বেলা থেকে নানা বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করার সুবাদে বিএনপির সমর্থন করে আসছিলেন।
কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি কোন এক ঐশ্বরিক ইশারায় ইউনিয়ন বিএনপির যুবদলের সভাপতির পদ পদবী পেয়ে যান।
তিনি বিএনপির যুবদলের সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও সখ্যতা গড়ে তোলেন আওয়ামীলীগ এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সহ আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের সঙ্গে এরপরেই তার ভান্ডারিয়া উপজেলায় একেরপর এক ক্ষমতা বিস্তার করতে থাকেন। বিএনপির কোন নেতা কর্মীদের কে তিনি পাত্তাই দিচ্ছে না। আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজের সাথে একাধিক মিটিং মিছিল ও বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করতে থাকেন। এমনকি তিনি আওয়ামী লীগের আমলে ভান্ডারিয়া উপজেলার বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্টের পরিচালনা কমিটির একজন পরিচালক এবং ক্রিয়া সংস্থার রেফারির দায়িত্ব পালন করতেন। তখন আওয়ামী লীগের নেতাদের এনে মেহমান বানিয়ে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এবং অর্থ আত্মসাৎ করতে কোন দ্বিধা করতেন না। তার এহেন কর্মকান্ডের সত্যতা প্রমাণিত হলে পিরোজপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ মারুফ হাসান ও সদস্য সচিব মোঃ ইমদাদুল হক মাসুদের অনুমোদনে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক (দাপ্তরিক দায়িত্বপ্রাপ্ত) তানজিম হাসান শাওনের স্বাক্ষরিত ১০/১২/২০২৩ তারিখে ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতির পদ থেকে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দলীয় পদ পদবী থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন এবং দলের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলের জন্য কেন্দ্রে প্রেরণ করেন।
শুধু এতে ক্ষ্যান্ত নন তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খবরাখবর পুলিশের কাছে থানায় পাচার করতেন, আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত রেখে বিএনপি ও জামাতের খবরাখবর প্রচার করতেন। শুধু তাই নয় মেয়র নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন এবং ইউনিয়ন নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পিছনে কাজ করতেন। বিশেষ করে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভান্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের তালই টুলু চেয়ারম্যানের সমস্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ সে নিজেই করে থাকতেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচন বাস্তবায়ন কমিটি ধাওয়া শাখার প্রধান ছিলেন তিনি, সেই সময় বিভিন্ন নেতাদের কাছ থেকে টাকা ভাগাভাগির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোকমুখে শোনা যায় তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের শহীদ এমদাদুল হক যিনি উত্তর বাড্ডায় জুলাই আন্দোলনে শহীদ হন, তার জানাজা নামাজের ছবি তুলে গোপনে থানায় প্রেরণ করেন। এবং এখনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিয়োগকৃত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক যেন সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে না পারেন সেই জন্য পলাতক সাবেক চেয়ারম্যান টুলু ডাকুয়াকে সমস্ত খবরা-খবর আদান প্রদান করেন। এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের পলাতক নেতৃবৃন্দের সাথে রিতিমত যোগাযোগ করে তাদের পরিবার ও মামলা মোকদ্দমা দেখাশোনা করেন। এতকিছুর পরও কোন অদৃশ্য শক্তির বলে এখন আবার বিএনপিতে এসে তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ তার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে তার এই সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে বিএনপি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত মাসুম বিল্লাহ সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com