স্টাফ রিপোর্টারঃপটুয়াখালীতে মাদক ব্যবসায়ীকে বাঁচাতে যুগান্তর দক্ষিণ প্রতিনিধি বিলাস দাস গণমাধ্যম কর্মীদের জড়িয়ে সংবাদ প্রচার সাংবাদিক মহলে ক্ষোভ । অনুসন্ধানে পটুয়াখালী গোয়েন্দা (ডিবি) সূত্রে জানা যায়, গত ৫'ই অক্টোবর ২০ ইং তারিখ রাত ০৮ঃ৫৫ ঘটিকায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা শাখার এস আই (নিঃ) রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় এএসআই (নিঃ) জাহিদুল ইসলাম, কং-৯৭২ মোঃ কাওসার সিকদার, কং-২৭২ মোঃ ইব্রাহীম, কং-৪৩১ সাব্বির হোসেন, মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযানের উদ্দেশ্য পটুয়াখালী সদর পৌরসভাধীন তিতাস মোড় সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নেয়।এবং জানতে পারে সদর পৌরসভার অন্তর্গত পুরাতন ফৌজদারিপুল সাকিনস্থ নিউ সাতক্ষীরা দধি ঘর প্রোঃ শিবুপদ ঘোসের দোকানে কতিপয় ব্যক্তিরা মাদকদ্রব্য ক্রয় বিক্রয় করিতেছে। বিষয়টি তৎক্ষনাৎ উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করে, রাত ০৯ঃ২০ ঘটিকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা করতে মটরসাইকেল যোগে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে মাদক ব্যবসায়ীরা গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা কারিলে এস আই (নিঃ) রফিকুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মলিন সিকদার (৩৫) পিতাঃ মৃত খলিল সিকদার সাং শিমুলবাগ ৩ নং ওয়ার্ড থানা ও জেলা পটুয়াখালী'কে ভারতীয় ৭ বোতল ফেনসিডিল সহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।এবং আসামি মলিনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গোয়েন্দা শাখায় এজাহার ভুক্ত হয়, যার ডায়রি নং-৪০। এব্যপারে গোয়েন্দা শাখার এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন,আমরা মাদকের অভিযান পরিচালনা করি বিভিন্ন ধরনে সোর্সের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে। কিন্তু উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত না করে নয়।
আসামি মলিনকে গ্রেফতারের পূর্বে আমাদের অনেক কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা অনেকাংশে চলমান মাদক মামলার আসামি কিম্বা ভালো হয়ে যাবার প্রতিশ্রুতিতে মাদক সেবিদের সাহায্য নিয়ে থাকি। এর'ই ধারাবাহিকতায় আসামি মলিনকে ধরতে একাধিক মাদক মামলার আসামি অবৈধ মাদক ব্যবসায়ী নিয়াজ মোরর্শেদ ওরফে শুভ পিতা মোঃ রফিকুল ইসলাম গ্রাম-ইদ্রাকপুর উপজেলা থানা পটুয়াখালী সদর যার মামলার এফ আই আর নং- ৩০/৬২, তারিখ ১৯ সেপ্টে ২০১৭ সময় - ০৩ঃ৫০। তিনি আরো বলেন, প্রথমে আমার শুভ'র সাথে কথা বলি এবং মলিনকে ধরতে কৌশলগত আলোচলার একপর্যায়ে শুভ'র কৌশলকে কাজে লাগাই। শুভ বলেন, আমি তাকে চিনি আমাকে কিছু টাকা ধার দিলে মাদক ক্রয় বিক্রয়ে সময় তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো। তার কৌশল অনুযায়ী (কং)-২৭২ মোঃ ইব্রাহীমের বেতনের টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা ০১৭৯৯৫৪১৪৫০ নম্বরে বিকাশ করা হয়। মুলত বিকাশের টাকা ফেরৎ চাহিতে গেলে এই অপপ্রচারের সূত্রপাত।
ঘটনার সূত্রে জানাযায়,শুভ টাকা ফেরৎ দিতে তালবাহানা শুরু করে এবং কিছু গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে আমাদের বিরুদ্ধে অপ্রচার চালালে তার প্রথমে মুঠোফোনে আমাদের কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে আমারা ঘটনার বর্ননা মুঠোফোনে বুঝাতে সক্ষম হই।
আমাদের কথার সত্যতা পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা শুভ'কে অবহিত করে। শুভ তাদের কাজ থেকে অনৈতিক সুবিধা পাওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে পটুয়াখালী দৈনিক যুগান্তর দক্ষিণ ও অনলাইন পত্রিকা বরিশাল টাইমসের প্রতিনিধি বিলাস দাসের শরণাপন্ন হয়। বিলাস দাস ঘটনার সত্যতা না যেনে গত-১০'ই অক্টোবর ২০ ইং তারিখ দৈনিক যুগান্তর ও বরিশাল টাইমস্অনলাইনে মাদক ব্যবসায়ীকে বাচাঁতে পটুয়ালীতে জামাতাকে আটকে শাশুড়ীর কাছে টাকা আদায় শিরোনামে পুলিশ প্রশাসন ও কিছু গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে অসত্য সংবাদ প্রচার করে।
শুধু তাই নয় শুভ'র শশুর পটুয়াখালী জেলার আলোচিত একাধিক মাদক মামলার আসামি মোঃ শহিদুল ইসলাম পিতা মৃত-তমিজ উদ্দিন স্থানী ঠিকানা কলের পুকুর পার উপজেলা থানা পটুয়াখালী সদর। যার মামলার এফ আই আর নং ১৭/৪৯৫ -১০'ই অক্টোবর ২০১৭ ইং সময় ০৯ঃ০৫ ঘটিকায় ধারা -১৯(১) এর ৯(ক)/১৯(৪)/২৫- ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের এজাহারে অভিযুক্ত এবং গ্রেফতারের সময় ১০'ই অক্টোবর ২০১৭ইং বেলা ১.০০ ঘটিকায়। অসত্য সংবাদ প্রচারের ঘটনায় গোটা সাংবাদিক মহলে চলছে মৌনতা।
প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে জানাযায়, কোনরূপ বক্তব্য ছাড়াই মনগড়া কাল্পনিক রূপকথার গল্প সাজিয়ে মানহানিকর
সংবাদটি প্রকাশ করে। এব্যপারে সাংবাদিক বিলাস দাসের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে এরিয়ে যান এবং ব্যস্ততার কথা বলে লাইনটি কেটে দেয়। কে এই বিলাস দাস অনুসন্ধান করতে গেলে বেড়িয়ে আসে অজানা সবতথ্য।
বরিশাল কাউয়ার চরের স্থানী বাসিন্দা হলেও জীবিকার তাগিদে ছুটে আসেন পটুয়াখালী। পটুয়াখালী সদর পৌরসভাধীন গোরস্থান সংলগ্ন এলাকায় হোন্ডার মেকারের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এমন এক ব্যক্তি বলেন সাংবাদিকদের হোন্ডা মেরামত করতে গিয়ে তার এই পরিবর্তন। মেকার হিসাবে তার প্রসংশা রয়েছে সর্বত্র বাকিটা সব ইতিহাস।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে। বর্তমানে পটুয়াখালী সদর
পৌরসভার নিউমার্কেট পিডিএস মাঠ সংলগ্নে ভাড়াবাড়ীতে থেকে চালাচ্ছেন সাংবাদিকতা। সার্বিক বিষয় পটুয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা তদন্ত শুরু করেছি সত্যটা বেড়িয়ে আসবে বলে তিনি জানান ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com