এস এম নাসির মাহমুদ, আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধিঃ

বরগুনার আমতলীতে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো.মেহেদি জামান রাকিবের বিরুদ্ধে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডঃ মো. মহসিন মিয়াকে লাঞ্চিত করার অভিযোগে অ্যাড: মহসিন মিয়া কর্র্তৃকসংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বিকার করে রবিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মো. মেহেদি জামান রাকিব।
সংবাদ সম্মেলনে মো.মেহেদি জামান রাকিব বলেন,বরগুনা জেলা বিএনপির নব গঠিত কমিটির আহবায়ক নজরুল ইসলাম মোল্লা,সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ফজলুল হক মাষ্টার ও সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির শাহিনকে দেওয়া গণ সংবর্ধনায় এডভোকেট মহসিন মিয়া লাঞ্জিত হওয়ার ঘটনায় আমাকে জড়িয়ে অ্যাডঃমো. মহসিন মিয়া কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেই বিষয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেহেদি জামান রাকিব দাবী করেন
২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে এডভোকেট মহসিন হাওলাদার বিএনপির আমতলী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ হাসিনার পক্ষে ভোট চেয়েছেন এবং সেই থেকে তিনি পরবর্তী সকল নির্বাচন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালিয়েছেন।
তার সাথে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধিরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.দেলোয়ার হোসেন,সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম দেলোয়ার হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র মতিয়ার রহমানের সাথেসহ একাধিক আওয়ামীলীগের প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করেছেন এবং তাদের নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন যার ছবি ও ফুটেজ রয়েছে, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার ভিডিও রয়েছে, তিনি দলের বিরুদ্ধে গিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে কার্যক্রম করায় তার বিরুদ্ধে বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্দ ছিল।
কিন্তু ৫ই আগষ্টের পর বিভিন্ন ভাবে বিএনপিতে অনুপ্রবেশ এর চেষ্টা করলেও দলীয় নেতা কর্মীদের বাধার মুখে অগ্রসর হতে না পেরে স¤প্রতি জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষিত হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এবং দলীয় গ্রুপিংয়ের সুযোগে পুনরায় দলে ফিরে আসার পরিকল্পনা অনুযায়ী ঐ দিন তার কিছু অনুসারী নিয়ে সংবর্ধনা স্থলে গেলে বিএনপির ত্যাগী নেতা-কর্মীরা তাকে আওয়ামী দালাল হিসেবে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে তার সাথে থাকা আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়।
যুবদল নেতা আরও বলেন, উক্ত ঘটনার সময়ে সেমেহেদি জামান রাকিব নব -গঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে রিসিভ করার জন্য সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে উপজেলার প্রবেশপথ শাখারিয়ায় ছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে তিনি ২০০১ সাল থেকে ৫ই আগষ্ট এর আগে এডভোকেট মহসিন হাওলাদারের আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততার কিছু ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখান।
মেহেদি জামান রাকিব আরো বলেন,যখন অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া লাঞ্চিত হন তখন তিনি, আমতলী শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার দুরে ছিলেন এবং তার প্রমাণ দলের নেতৃবৃন্দ। এসময় তিনি শাখারিয়া প্রোগ্রাম চলাকালীন জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত আহবায়ক ও সদস্য সচিবের সাথে তোলা ছবি প্রমাণ হিসেবে দেখান।
তার বিরুদ্ধে অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া কর্তৃক সংবাদ সম্মেলন করে যে অভিযোগ করা হয়েছে।যা আদৌ সত্য নয়।মেহেদি জামান রাকিব আমতলী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী যুবদল আমতলী উপজেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক ও ৫নং চাওড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়ায় উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে তার বিরুদ্ধে এই মিথ্যাচার করছেন অ্যডঃ মো. মহসিন। তিনি প্রকৃত ঘটনা তদন্ত পূর্বক দলীয় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন।