এম জাফরান হারুন::
পটুয়াখালী জেলায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল টাকা সরবরাহ চক্রের সদস্যরা। বিশেষ করে বাউফল ও কলাপাড়া উপজেলায় বিস্তার ছড়াচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হলেও প্রতিকার মিলছে না। তবে পুলিশ বলছে, জাল নোট চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, মৎস্যবন্দর আলীপুর-মহিপুর, বাবলাতলা, বালিয়াতলী, বানাতী এলাকায় জাল টাকা লেনদেন বেশি হচ্ছে। কালাইয়া গরু-মহিষের হাট ও বাজারে, বাউফল পৌরশহরে এমনকি বগা, কালিশুরী বন্দর বাজারেও। এসব জাল টাকার মধ্যে এক হাজার টাকা, পাঁচশ টাকার নোট ছাড়াও ২০০, ১০০ টাকার নোটও রয়েছে। এসব জাল টাকা সরবরাহকারীরা ধর্মীয় উৎসবের সময় বেশী সক্রিয় থাকে। বিশেষ করে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর, ঈদ-উল আযহা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দূর্গোৎসব এদের প্রধান টার্গেট বলে জানা গেছে।
দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা সরবরাহ চক্রের সদস্যরা এসব এলাকায় সক্রিয়। কুরিয়ার সার্ভিসেরও মাধ্যমে জাল টাকা এনে সরবরাহ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
একাধিক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জাল টাকার কয়েকটি ধরন রয়েছে। কোনোটি অতি সহজে চোখে ধরা পড়ে, কোনোটির আবার বোঝার উপায় থাকে না।
যেসব দোকানপাটে সাধারণত ক্রেতার ভিড় বেশি থাকে কিংবা গরু-ছাগলের হাট অথবা সাপ্তাহিক হাটে জাল টাকা চালানোর চেষ্টা করে চক্রের সদস্যরা।
সুশীল সমাজের লোকজন বলেন, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন তথা জেলা পুলিশ প্রধানের বিচক্ষণতা ও তৎপরতায় এবং তার নির্দেশে প্রতি থানার ওসিদের সঠিক নজরদারি থাকলে অবশ্যই ওই চক্রের সদস্যরা ধরা পড়বে। বিশেষ করে এসব কাজের সাথে রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিরাও জরিত। গোয়েন্দা সহ পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা আরও বলেন, এ চক্রের সন্ধান পেলে তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানানোর জন্য জনগণকে অনুরোধও জানান তারা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com