শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনী ও পুলিশের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকা, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ | দৈনিক ক্রাইম বাংলা
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক করতে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বিক সহায়তা কামনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার মিরপুর সেনানিবাসে সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজে (ডিএসসিএসসি) কোর্স ২০২৫-এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এখন নির্বাচনের সময়। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনে সামরিক বাহিনী, পুলিশ এবং আইন প্রয়োগকারী অন্যান্য সংস্থার সহায়তা প্রয়োজন।”
২০১৪ সালের ছাত্র–জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অতীত শাসন ব্যবস্থার অবসান হয়েছে। নতুন আশা ও আকাঙ্ক্ষার জন্ম হয়েছে জনগণের মনে। এটি শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।”
ডিএসসিএসসির প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি দেশের সেরা সামরিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও সুপরিচিত। গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই কোর্স থেকে অর্জিত জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও সংকল্প জাতির উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশ এখন বড় রূপান্তরের সময় অতিক্রম করছে। আপনারা দেশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছেন।”
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সশস্ত্র বাহিনী অতীত সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করেছে। “দেশ ভাগ্যবান— কারণ সব বাহিনী জনগণের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।”
সংস্কার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংস্কার শুধু ঘোষণা নয়, তা সঠিকভাবে সম্পন্ন করতেও হবে। অতীতে ফিরে গেলে ত্যাগ ব্যর্থ হবে। আমাদের লক্ষ্য স্বপ্নের দেশ গড়া।”
অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত অপরাধের বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “ভয়াবহ অপরাধের বিচার করতেই হবে।”
ডিএসসিএসসি কোর্সে অংশ নেওয়া বিদেশি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাদের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের শক্তিশালী বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা সম্পর্কের প্রতিফলন। ভবিষ্যতেও এই সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি।”
গ্র্যাজুয়েশন তথ্য
আইএসপিআরের তথ্যমতে, ডিএসসিএসসি কোর্স ২০২৫-এ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭০ জন, নৌবাহিনীর ৪৫ জন, বিমান বাহিনীর ৩৬ জন এবং বাংলাদেশ পুলিশের ৩ জন কর্মকর্তা গ্র্যাজুয়েট হন। চীন, ভারত, সৌদি আরব, তুরস্কসহ ২৪টি দেশের মোট ৫৮ জন বিদেশি কর্মকর্তা কোর্সে অংশ নেন। এ বছর মোট গ্র্যাজুয়েট ৩১১ জন। তাদের মধ্যে ১৪ জন নারী কর্মকর্তা রয়েছেন।
সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত ৬,৮১৪ জন কর্মকর্তা—বাংলাদেশের ৫,৩২৯ জন, পুলিশের ২০ জন এবং ৪৫ দেশের ১,৪৬৫ জন বিদেশি কর্মকর্তা—এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com