প্রতিনিধি ঝিনাইদহ:জীর্ণশির্ণ একটি ছোট টিনের চালায় বসবাস পরিবারটির। অসহায় স্বামী দিনের বেলায় বাড়ী থাকলেও বেশীরভাগ রাতে থাকে স্থানীয় বাউরে। কারণ বাউরে তার রাতের ডিউটি থাকে। এর এই শুযোগে লম্পট থাকে সুযোগ সন্ধানে। টিক অপেক্ষার প্রহর কাটে লম্পটের। কিন্তু এবারও তার চেষ্টা ব্যার্থ। তবে এভাবে আর এ এলাকায় ভয়ে ভয়ে থাকতে চাই না সনাতনধর্মের অসহায় জেলে পরিবারটি। এমন মর্মান্তিক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশহাটি ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামে এক সনাতন ধর্মের পরিবারের উপর। উঠেছে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ । অভিযুক্ত আশরাফ শাহ একই গ্রামের ইউনুছ শাহের সন্তান। এ ঘটনায় হরিণাকুণ্ডু থানায় একটি শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানান হরিণাকুণ্ডু থানায় দায়িত্বরত এস আই বিশ্বজিৎ পাল।
এব্যাপারে স্থানীয় একাধীক জনসাধারণ জানান,আশরাফ শাহ একজন লম্পট চরিত্রর লোক,সে এর আগেও একাধীকবার এ ধরণের কর্মকান্ডর সাথে জড়িত ছিলো,গ্রামে অনেকবার তার নামে স্থানীয় সালীশ হয়েছেেএই কিছু অর্থদন্ডর মাধ্যমে সে বারবার পার পেয়ে যায়। যার ফলে সে একের পর এক এ ধরণের কর্মকান্ড ঘটিয়ে চলেছে।
গতরাত মঙ্গলবার রাতে অনুমানিক নয় ঘটিকায় ঘোড়াগাছা গ্রামের এই গ্রহবধুকে কলে পানি আনতে গেলে লম্পট আশরাফ শাহ তাকে অশ্ত্রের ভয় দেখিয়ে মূখ চেপে বাড়ির পাশে বাগানে নিয়ে গিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড করতে গেলে সে চিৎকার চেচামেছি করলে স্থানীয় প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে।
এসময়ও লম্পট আশরাফ শাহ তাদের বিভিন্ন ধরণের ভয়ভিতি দেখিয়ে স্থান ত্যাগ করে বলে জানান স্থানীয়রা। ভুক্তভোগির স্বামী অসহায় জেলে বলেন,আমি বেশীরভাগ রাতে বাউরে পাহারায় থাকি এ সুযোগে আশরাফ শাহ গতরাতে আমার পরিবারের উপর খারাপ উদ্দেশ্য আমার স্ত্রীকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যায়,স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমি এ বারেরর মত রেহায় পায়,আমি আর এখানে থাকতে চাই না। কারণ ইতিপূর্বেও আশরাফশাহ এমন অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে কিন্তু তার বিচার হয়নি।ভুক্তভোগীর সাথে সরোজমিনে কথা বললে তিনি বলেন,আশরাফ শাহ এর আগেও আমাকে খারাপ কাজের জন্য অর্থের লোভ দেখিয়েছে। আমি রাজি না হওয়ায় সে গতরাতে অশ্ত্রের ভয় দেখিয়ে আমাকে তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু যেই আমাকে খারাপ কাজের জন্য পাশের বাগানে নিয়ে গিয়ে আমার মুখ খুলে দেয় তখনই আমি চিৎকার চেচামেছি করি আর সেসময় আমার প্রতিবেশীরা আমাকে উদ্ধার করে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত আশরাফশাহ এর বাড়ীতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নী,পরে তার ব্যাবহারিত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার স্ত্রী ও মায়ের সাথে কথা কললে স্ত্রী বলেন,এটা সম্পন্ন মিথ্যা,তবে তার মা বলে ফেলেন,আমি মিথ্যা বলবো না আমার ছেলেকে এর আগেও অনেকে ফাঁসাতে গিয়েছিলো,অনেকবার সালীশ বিচার হয়েছে কিন্তু বারবারই আমার ছেলে নির্দোষ হওয়ায় তার কিছুই করতে পারিনি । এখন আবার অন্য ফাঁদ পেতেছে কিছুই করতে পারবেনা ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com