মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বাবু রাজশাহীঃসিরাজগন্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার মহান মুক্তিযুদ্ধের তৎকালীন ইপিআর কর্মরত ছিলেন কোব্বাদ হোসেন এর ১৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধার আত্মার শান্তি কামনা করে পারিবারিকভাবে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন ইপিআর অন্তর্গত সদস্য আগরতলা ষড়যন্ত্র শিকার হন। আগত পাক বাহিনীর প্রথম প্রবেশ করার বাধা দান কালে পাক বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অগ্রগামি ভূমিকা পালন করেন। দেশ মাতৃকার জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে বীরত্ব দেখান।
পাকিস্তানিদের বাধা দান করে যুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে মেডেল ও পুরস্কার পেয়ে থাকেন সরকারি ভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপর তিনি ইপিআর থেকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড সুনামের সহিত চাকরি করে আসেন দেশের বিশেষ অভিযানে তার অবদান অপরিসীম এবং চাকরি থেকে অবঃ গ্রহন করেন সরকারি সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা সহ ।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের মহিমায় গর্বিত ও অনুপ্রাণিত।
রাষ্ট্রীয়ভাবে কবরটি সংরক্ষণ ও কবরটিতে নাম ফলক উপজেলা নির্বাহি অফিসার সরকারি ভাবে কবরে স্থাপন করা হয় সমাধিস্থলটি।
ইপিআর বাহিনীর সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় এবং শোষণ-বঞ্চনা থেকে তাদের মুক্ত করার লক্ষ্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে আপামর জনতা মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দেশের মুক্তিকামী জনতার সঙ্গে তৎকালীন ইপিআর (বর্তমান বিজিবি) মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে।
মুক্তিযুদ্ধের প্রথমদিকে ইপিআরের বাঙালি সদস্যরা রণকৌশলগত কারণে বুড়িগঙ্গা নদীর অপর তীরে জিঞ্জিরায় প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তোলেন। পরবর্তী সময়ে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ইপিআরের বাঙালি সৈনিকরা ১১টি সেক্টরে ৯ মাস যুদ্ধে নিয়োজিত থাকেন।
ইপিআর সদস্য ছাড়াও মুক্তিকামী জনতাকে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এছাড়া এ বাহিনীর আরও ৮ জন বীর-উত্তম, ৩২ জন বীরবিক্রম, ৭৭ জন বীরপ্রতীক খেতাব অর্জন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর মোট ৮১৭ জন বীর সৈনিক শাহাদতবরণ করেন। এ বাহিনীর অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৮ সালে সরকার এ বাহিনীকে ‘স্বাধীনতা পদক ২০০৮’ প্রদান করে।
মুক্তিযুদ্ধে অপরিসীম বীরত্বের জন্য এ বাহিনীর দু’জন সৈনিক সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত হন। তারা হলেন- শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এবং শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ। তাদের বীরত্বগাথা এ বাহিনী তথা বাঙালি জাতিকে করেছে গৌরবান্বিত। তাদের সম্মানে পিলখানাস্থ দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে- বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ এবং বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ।
আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর , আমাদের উচিত তার আত্মত্যাগ এর কথা স্মরণ করে তার যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করা। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারিভাবে অনুষ্ঠান করা যাতে নতুন প্রজন্মরা তার সম্পর্কে জানতে পারেন
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com