এমদাদ খান রামগড় ঃবিশ্বের বিভিন্ন দেশে রমজানকে ঘিরে অনেক পণ্যে মূল্যছাড় দেওয়া হয়, তবে ব্যতিক্রম বাংলাদেশে। পাহাডি এলাকা রামগড়ে রমজান শুরুর একদিন আগেই বেগুন, শশা, কাঁচামরিচ ও লেবুসহ বেশ কিছু নিত্য পণ্যের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষ। সংযমের মাস রমজানে পণ্যের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (৪টা এপ্রিল) রবিবার রামগড়ে সাপ্তাহিক হাটবার সরেজমিন রামগড়ের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে সব দোকানেই পণ্যের যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। তারপরেও এক রাতের ব্যবধানে পণ্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। একদিন আগেও যে বেগুন ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, এখন তা বেড়ে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে শশা ২০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও, তা বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। কাঁচামরিচ ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন তার দর ১০০ টাকা। এছাড়া প্রতি হালি লেবু বিক্রি হতো ১৫-২০ টাকায়, এখন দাম ৩০ টাকা। তবে বাজারে অন্যান্য পণ্যের দাম আগের মতো রয়েছে।
ক্রেতা ইউছুপ আলি জানান আমি বাসায় নিয়মিত লেবু খাই। একদিন আগেও বাজার থেকে লেবু কিনলাম ১৫-২০ টাকা হালি দরে। আজ তা ৩০টাকায় নিতে হচ্ছে। একদিনের ব্যবধানে এমন কি হলো যে লেবুর দাম দ্বিগুণ হবে? এটা আর কিছুনা, অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা এর জন্য দায়ী।
আরেক ক্রেতা রহিম বলেন, কয়েকদিন ধরেই বাজারে বেগুন, শশা ও কাঁচামরিচের দাম অনেকটা কম ছিল। তবে রমজান এর প্রথম দিন , এ কারণে দাম একটু বেশি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সবজি ব্যবসায়ী মোস্তফা বলেন, আমি সারাবছরই লেবু বিক্রি করি। আমাদের বাজারে রামগড়ের আশপাশের লেবুর বাগান থেকে লেবু আসে। একদিন আগেও ১৫-২০ টাকা দরে এক হালি বিক্রি করেছি। তবে আজ আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়েছে। তাই বেশি দামেই তা বিক্রি করতে হচ্ছে।
আরেক সবজি বিক্রেতা মির হোসেন বলেন, আমরা সাধারণত রামগড়ের আশেপাশে পাহাডি এলাকা ও বারিয়ার হাট,কুমিল্লা নিমসার, থেকে সবজি কিনে বাজারে এনে বিক্রি করি। তবে রমজানে বেগুন, শশা ও কাঁচামরিচের বাড়তি চাহিদা থাকে, যে কারণে স্থানীয় বাজারে দাম বেড়েছে। আমরা বাড়তি দামে কিনে এনে বাড়তি দামে বিক্রি করছি। তবে দুই-একটি পণ্য ছাড়া অন্য পণ্যের দাম কম রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com