এম জাফরান হারুন, , পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া নদী সংলগ্ন নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ট্রলার চালকের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ মা ইলিশ জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় দু’টি ডিপ ফ্রিজ জব্দ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকালের দিকে দশমিনা হাজীরহাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পেছনে এ ঘটনা ঘটে। বিতর্ক উঠেছে ইলিশ রক্ষা অভিযান নিয়েও।
জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দশমিনার হাজিরহাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পেছনে নৌ-পুলিশের বোট (ট্রলার) চালক মো. হাসেম সরদার ও রাসেল মৃধার বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় দু’টি ডিপ ফ্রিজে জমিয়ে রাখা বড় সাইজের ৩শ’ টি মা ইলিশ আটক ও ফ্রিজ দু’টি জব্দ করে। অভিযানের খবর পেয়ে ইলিশ মজুত করা ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। আটক ইলিশ উপজেলার বিভিন্ন এতিখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় যুবলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হাজিরহাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে আটক করা মজুতকৃত ইলিশ ফ্রিজে রেখে তাদের নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উচ্চ দামে বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছে বিক্রি করতেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. হাসেম সরদার বলেন, আমার ছোট ভাই নৌ-পুলিশের ট্রলার চালক। আমি মাছ কিনে ফ্রিজে রেখেছিলাম বিক্রি করার জন্য।
দশমিনা হাজিরহাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. সুরুজ ইলিশ মজুত ও বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ। হাসেম সরদার ও রাসেল মৃধা এখন আর নৌ-পুলিশের ট্রলার চালায় না।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহাবুব আলম তালুকদার বলেন, যাদের বাসা থেকে ইলিশ মাছ আটক করা হয়েছে তারা দু’জন নৌ-পুলিশের ট্রলারচালক। নৌ-পুলিশ ট্রলার নিয়ে যখন অভিযানে যায় তখন মৎস্য বিভাগের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে তারা তাদের ট্রলারে নেয় না। তারা নিজেরাই অভিযানে নামে তাই তাদের ব্যপারে মৎস্য বিভাগের কিছু জানা নাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, ইলিশ রক্ষা অভিযান জোরদার করা হয়েছে এবং নদীতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com