এম জাফরান হারুন,পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় সার্ভেয়ার জাকির মৃধা নামে একজনের মাছের ঘেড়ের কড়াল গ্রাসে বিলিনের পথে বসেছে পিচঢালা সড়কটি।
মঙ্গলবার (৩১শে জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কাগজিরপুল সংলগ্ন মদনপুরা ইউনিয়নের পালপাড়া থেকে উত্তর দিকে মোল্লা বাড়ি পর্যন্ত পিচঢালা সড়কের কোলঘেষে অবস্থিত সার্ভেয়ার জাকির মৃধা নামে বড়সড় ৫/৬ টা মাছের ঘেড় রয়েছে। যা ফলে ঘেড়ের পানি ওঠানামা করায় সড়কের পাশ ভেঙে ভেঙে এখন সড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে গর্ত ও ঘেড়ে সড়ক বিলিন হওয়ার দৃশ্য।
এব্যাপারে স্থানীয়রা সহ বিভিন্ন গাড়ি চালকরা জানান, এই ঘেড়ে সড়কটি বিভিন্ন জায়গা থেকে ভেঙে ভেঙে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে গর্ত। এই সড়কটি কাগজিপুল হইতে সূর্যমনি ইউনিয়ন পর্যন্ত হওয়ায় প্রতিদিন কয়েকশত গাড়িঘোড়া চলাচল করে। এখন অনুপোযোগি হয়ে উঠেছে গাড়িঘোড়া চলাচলে। প্রায়ই সময় এক্সিডেন্ট হয়ে থাকে। এদিকে ঘেড়ে সড়কটি বিলিন হচ্ছে আবার সড়কটির পিচ উঠে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। যা দ্রুত সংস্কার করা উচিৎ, নইলে এলাকার বাসিন্দাদের ও গাড়িঘোড়া চলাচলের জন্য বিপদজনক দূ্র্ভোগ ভোগান্তি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা জানান, তিনি সার্ভেয়ার এলাকায় থাকেন না। মাছের ঘেড় করে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। এব্যাপারে তাকে জানানো হয়েছে কিন্তু কোনও কর্নপাত দেখছি না। আমার জানামতে মাছের ঘেড় করতে হলে রাস্তা থেকে কমপক্ষে ১০ ফুট রেখে করা উচিৎ কিন্তু তাতো করেনই নাই। এখন সড়কটি তার ঘেড়ে বিলিনের পথে বসেছে। আবার জানা গেছে তিনি নাকি সড়কটি মাঝখান দিয়ে ফুটো করে পাইপ দিয়ে এ ঘেড়ের পানি ওই ঘেড়ে আবার ওই ঘেড়ের পানি এ ঘেড়ে আনা নেওয়া করেন। তবে তিনি যদি সমস্যার সমাধান না করেন তাহলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দেওয়া হবে।
এপ্রসঙ্গে সার্ভেয়ার জাকির মৃধা বলেন, সড়কটি আমার বাপদাদার জায়গা দিয়ে গেছে। যদি বেশি কোনও সমস্যা দেখা যায় তাহলে আমি গ্রামে এসে সমাধান করার চেষ্টা করব। এর আগেও যেমন করেছি। তবে সড়কটি পাকা করার সময় ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি করা হয়েছে। যার ফলে অল্প দিনে পিচ উঠে গিয়ে খানাখন্দ সহ চলাচলের অনুপোযোগি হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান আহমদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল-আমিন প্রতিবেদককে বলেন, ব্যাপারটা আপনার কাছ থেকে জানলাম, সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com