সেলিম মিয়া, রংপুর প্রতিনিধি।।
তিস্তা নদীর চরে বালুকাময় জমিতে ফসল ফলানোর চিন্তা খুব একটা ফলপ্রসু নয়। তাই দীর্ঘদিন ধরে পতিত ছিল রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার তিস্তা অববাহিকার চরগুলো। অনাবাদি হওয়ার কারণে এ চরগুলোর কোনো খোঁজখবর রাখেননি জমির মালিকরাও।
তবে আশপাশের ভূমিহীন মানুষরা এ চরের জমিতে মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন। তাদের প্রচেষ্টায় গংগাচড়ার ৬টি চরে এখন মিষ্টি কুমড়ার চাষ হচ্ছে। ধু-ধু বালুচরে যতদুর চোখ যায় সমস্ত চর জুড়ে এখন সবুজ কুমড়া গাছের ফাঁকে ফাঁকে সোনালী মিষ্টি কুমড়ার সমারোহ।
বন্যায় তিস্তার চরের মানুষ হতাশাগ্রস্ত থাকলে খরা মৌসুমে তাদের মুখে থাকে নিতান্তই হাসি। তিস্তার চর যখন সবুজ শ্যামল ফসলে ভরে ওঠে তখন তিস্তাপাড়ের মানুষের মুখে ফুটে ওঠে সফলতার হাসি।
উপজেলার মহিপুর,লক্ষীটারি, কোলকোন্দ ও নোহালী ইউনিয়নের তিস্তার চরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় একরজুড়ে সবুজ শ্যামল মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেত। কৃষাণ-কৃষাণীরা মিষ্টি কুমড়ার ভাল ফলনের আশায় শীত উপেক্ষা করে শ্রম দিয়েই যাচ্ছেন কুমড়া ক্ষেতে। কুমড়ার পাশাপাশি পেঁয়াজ, ভুট্টাসহ শাকসবজি আবাদে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন চরাঞ্চলের কৃষকেরা।
কুমড়া ক্ষেতে কাজ করা জহুরা বেগম জানান, তিস্তার চরে কম খরচে লাভজনক ফসল হচ্ছে এই কুমড়া।আর্থিক চাহিদা মেটাতে এখন অনেকেই কুমড়া চাষে এগিয়ে আসছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান,শুষ্ক মৌসুমে তিস্তার চরে এখন অনেক ফসলই আবাদ হচ্ছে। চরাঞ্চলে কোনো জমিই এখন আর পতিত থাকে না। চলতি বছরে চর এলাকায় প্রায় ১২০ একর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আল আমিন খান , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ নজরুল ইসলাম,
সার্বিক যোগাযোগ: 01867-243396 ই-মেইলঃ dailycrimebangla@gmail.com