৷৷৷৷৷৷৷৷ ৷ ৷৷ ৷৷৷ রুপোর তরী।।।।।।।।।।।।।।।
– মোঃ নাঈমূর রহমান রনি
আষাঢ়ের বারিধারা আচমকা ঝড়।
এই বুঝি উড়ে যাবে মোর বাড়ি ঘর।
বয়ে চলে জলরাশি স্রোতধারা
অকুল পাথারে ওই যাচ্ছে জেলেরা
কুলে বসে কেঁদে যায় স্বজনেরা
আশায় বেঁধে ঘর
আসবে ফিরে মানিক তাহারা থামে যদি ঝড়।
উথাল পাতাল ঢেউ ধোঁয়া কুয়াশা।
ঘনিয়ে আসবে সুদিন বুকে বাঁধে আশা।
নয়নে নয়নে খেলা
ডুবে বুঝি যাবে বেলা
বুকেতে বাধিয়া ভেলা
চোখে নিরশা
করেনা পরোয়া কোন আল্লাহ ভরসা।
রুপালি ইলিশে জাল গিয়েছে ভরে।
মাল্লাদের মনে তখন আনন্দ নাহি ধরে।
আনন্দে চোখ ছল ছল
এসেছে আশার সকাল
অন্ধকার হয়েছে অতল
ফিরে যাচ্ছে নীড়ে
রুপালি ইলিশে তরী গিয়েছে ভরে।
ওই দেখো আসছে মাঝিমাল্লা দল
মুখ ভরা হাসি তাদের চোখ ভরা জল।
ভাগাভাগি করে নিয়ে টাকা কড়ি
ফিরে যাচ্ছে মাঝি আপন বাড়ি
পথ পানে চেয়ে আছে কন্যাকুমারী
বুকে নিয়ে আসার ঢল
নীড়ে এসে ফিরে পায় সুখের মহল।
ফিরে এসে গল্পের খুলে দেয় ডালা।
দেখতে দেখতে এসে যায় পুনঃ যাত্রার পালা।
সোনার দেহ পোড়ে রুপোর আশায়
সংসার চলে না কারো দেহের মায়ায়
রুপোর তরী দেখি সাগর মোহনায়
মৎস বন্দর জুড়ে ইলিশের মেলা
জীবন বাজি রেখে গড়ি মোরা
সোনার বাংলা।