এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর বাউফলে বড় ভাইয়ের পিস্তলের গুলিতে আপন ছোট ভাই সাব্বির হোসেন (১৬) নিহত হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত বড় ভাই মোঃ সজিব হোসেন (২১) কে সোমবার (১১মার্চ) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রান্না ঘরে রাখা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
মোঃ সজিব হোসেন, উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের সূর্যমনি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ বাবুল সরদারের বড় ছেলে। তিনি বাউফল নবারুন সার্ভে ইনস্টিটিউটের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (১০মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সজিব একটি পুরানো জংয়ে ধরা পিস্তল নিয়ে নাড়াঁচাড়া করতে গিয়ে হঠাৎ ট্রিগারে চাপ পরে একটি গুলি তার প্রতিবন্ধী ছোট ভাই সাব্বিরের কপালের বাম পাশে চোখের উপরে গিয়ে বিদ্ধ হয়। এরপর স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরিবারের লোকজন ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য সাব্বির বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে বলে প্রচার করেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুরজাহান বলেন, “সাব্বরিকে আহত অবস্থায় জরুরী বিভাগে আনার পর তার কপালের বাম চোখের উপরে একটি ছিদ্র দিয়ে রক্ত বেড় হতে দেখি। তখন রোগীর অবস্থা আশংকাজনক ছিলো। ওই সময় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করি।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিহত সাব্বিরের এক স্বজন বলেন, “ওই দিন বিকালের দিকে সাব্বিরকে নিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর পর জরুরী বিভাগের চিকিৎসক গুলিবিদ্ধর বিষয়টি জানতে পেরে তাকে ঢাকা নিউরোসায়েন্স হাসাপাতালে রেফার করেন। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হলে রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান।”
এ ব্যাপারে সূর্যমনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্চু বলেন, “আমি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি। ঘটনাটি আমি জেনেছি। খুবই বেদনাদায়ক। আমি চাই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসুক। সজিব কোথা থেকে কিভাবে এ অস্ত্র পেলো তাও পুলিশ খতিয়ে দেখবেন বলে আশা করছি।”
এ ব্যাপারে বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত সাব্বিরের বড় ভাই সজিবকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিস্তারিত পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হবে। নিহত সাব্বিরের লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।”