
মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন।।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের লাগোয়া সীমান্ত মায়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে ঘুমধুমের এক ইউপি সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে সাবের আহমদ (৪৩) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জামছড়ি সীমান্ত মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত সাবের আহমদ নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে কক্সবাজার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিজিপি ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান যুদ্ধে বিদ্রোহীদের সাথে টিকতে না পেরে সোমবার সকালে দেশটির ২৯ সদস্য জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বিকেল ৪টার দিকে আরও ১৪৮ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিতে বাংলাদেশের দিকে আসছে এমনটি দেখে স্থানীয়রা জামছড়ি সীমান্তবর্তী মসজিদ এলাকায় ভিড় জমান। এ সময় বিজিপি সদস্যদের লক্ষ্য করে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে গুলি ছুঁড়লে একটি গুলি ইউপি সদস্য সাবের আহমেদের শরীরে লাগে। তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন জানান, মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে ইউপি সদস্য সাবের আহমেদ আহত হয়েছে। সকালে ২৯ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেওয়ার পর বিকেলে আরও ১৪৮ জন বিজিপি সদস্যসহ সোমবার মোট ১৭৭ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয় নেওয়া সকল বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্র করে বিজিবিদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ দিক থেকে মিয়ানমারের তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী একজোট হয়ে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো হলো- তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি-টিএনএলএ, আরাকান আর্মি-এএ এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি-এমএনডিএএ।
গত ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশে আসে মিয়ানমারের সেনাসহ বিভিন্ন বাহিনীর ৩৩০ জন সদস্য। ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের ফেরত পাঠানো হয়।