• মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সিজারের সময় নবজাতকের পা ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। দশমিনায় পানিতে ডুবে প্রাণ হারাল প্রথম শ্রেণির ছাত্রী তাসমিয়া/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। রামগতিতে পরকীয়ার অভিযোগে গণধোলাইয়ের শিকার বিএনপি নেতা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। দূরশিক্ষণে বাউবির অগ্রযাত্রা: প্রতিবন্ধকতা ও আমার অভিজ্ঞতা: ড. মহাঃ শফিকুল আলম/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ থাকবে এমন আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নেই উদযাপিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কুয়ালালামপুরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটদান বিষয়ক মতবিনিময় সভা ও জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে ঐকমত্য কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ফেব্রুয়ারিতেই মহোৎসবের জাতীয় নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

ধর্ষণ বৃদ্ধির কারণ ও তার প্রতিকার।

রিপোর্টার: / ৫৮৫ পঠিত
আপডেট: বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০

নুরুল আমিন।। ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। এটি অত্যন্ত নিকৃষ্ট ও ঘৃণিত একটি কাজ। দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে ধর্ষণের প্রবনতা বেড়ে চলেছে। এ যেন ভয়াবহ মহামারী রূপ নিচ্ছে। পত্রিকার পাতা খুললে এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালের দিকে তাকালে দেখা যায়, প্রতিনিয়ত অসংখ্য নারী ও শিশু ধর্ষিত হচ্ছে। কিছু কিছু ধর্ষণের ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং প্রতিবাদ হয়। আর কিছু কিছু ধর্ষণের ঘটনা নিভৃতে কাঁদে। ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যার  ঘটনা ঘটছে অহরহ। বিচার চাইতে গিয়েও ধর্ষিতা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের সামাজিক কাঠামো ভেঙে যাবে। তাই নারী-শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ রোধে সামাজিক সচেতনতা জরুরি।                        
অনেক কারণে ধর্ষণের প্রবনতা বাড়ে এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সিনেমা বা নাটকে জোরপূর্বক ধর্ষণের দৃশ্য প্রদর্শন, ফেসবুক ও ইউটিউবসহ ইন্টারনেটের অন্যান্য মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও, নগ্ন ছবি ও যৌন উত্তেজক বিভিন্ন লেখা, গল্প বলা এবং চিত্রের ছড়াছড়ি, অশ্লীল পত্রপত্রিকা ও বই, বেহায়াপনা, বেপর্দা, নির্লজ্জতা, মাদকাসক্তি, আজেবাজে আড্ডা, অশ্লীল সংস্কৃতি, নৈতিক অবক্ষয়, প্রেম ও প্রেমে ব্যর্থতা ইত্যাদি কারণে ধর্ষণের প্রবনতা বাড়ে এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এছাড়া ধর্ষণের আরও উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ হচ্ছে যথাসময়ে বিয়ের ব্যবস্থা না করা, বেকারত্ব, ছেলেমেয়েদেরকে অবাধে মিশতে দেয়া, বাসাবাড়িতে মেয়েদের কাজ করতে দেয়া, অতৃপ্ত যৌন আকাঙ্খা, অবাধ যৌনাচার, ইন্টারনেটে অশ্লীল সাইটগুলো উন্মুক্ত করে দেয়া, ব্ল-ফিল্ম, একাকীত্ব বোধ, অপ্রাপ্তি, অপমান জনক অনুভুতি, পরকীয়া, ব্যক্তি জীবনে কষ্ট, হতাশা, রাগ, অক্ষমতা, বিচারহীনতা, ইভটিজিং ও উদাসীনতা ইত্যাদি। ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে কারও একার পক্ষে সম্ভব নয়। সমাজের প্রতিটি মানুষ সচেতন হতে হবে এবং ভূমিকা নিতে হবে। প্রত্যেকের উচিত তাদের সন্তান-সন্ততির প্রতি কড়া নজর রাখা। কঠোর আইন প্রয়োগ করে ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অশ্লীল ও অসামাজিক সব কিছু বন্ধ করে দিতে হবে। সুস্থধারার বিনোদন, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার চর্চা করতে হবে। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলতে হবে। ভালো বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। খারাপ কাজ, আড্ডা ও কথাবার্তা এড়িয়ে চলতে হবে।কোন মেয়েকে একা বা কোন নিকট আত্মীয়ের সাথে একা কোথাও যেতে দেয়া ঠিক হবে না। কোন অবস্থাতেই বাসাবাড়িতে মেয়েদের কাজে দেয়া উচিত হবে না। ধর্ষণ প্রতিরোধে রাষ্ট্রকে অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং নাগরিককে গড়ে তুলতে হবে সামাজিক আন্দোলন। সমাজে যাতে কোন ধর্ষক তৈরি না হয়, সেজন্য সবাই সজাগ হতে হবে এবং ধর্ষণ রোধে কাজ করতে হবে। আমাদের বিবেক জাগ্রত করতে হবে। সামাজিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তুলতে হবে। তাহলে সমাজ থেকে ধর্ষণ প্রবনতা কমবে আশা করা যায়।  লেখকঃ সাংবাদিক, কলামিস্ট, কথাসাহিত্যিক কবি, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক, লালমোহন, ভোলা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ