• বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নেপালের কাঠমান্ডুতে আন্তর্জাতিক কারাত প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ দলের রানার্স আপ ট্রফি অর্জন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা। নওগাঁর মান্দার ফেরিঘাটে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতির বিরুদ্ধে মাঠে ডা. ইকরামুল বারী টিপু/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। গুলিবিদ্ধ হওয়ার ছয় দিন পর মারা গেলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি,,, জাতির উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিতে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস মান্দায় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও দেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নওগাঁর মান্দায় খলিশা কুড়ি বাজারে ধানের শীষের পক্ষে সমবায় দলের গণসংযোগ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সড়ক নির্মাণে অনিয়ম! দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর কাজ শুরু করলেও জানেনা অফিস কর্তৃপক্ষ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বিজয় দিবসে মান্দায় বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। হাদির শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন, কিডনি কার্যক্রমে উন্নতি হলেও ঝুঁকি রয়ে গেছে

এখনো নাস্তা খান চাষীজমির পাশে ফরিদপুরের কৃষকরা।

রিপোর্টার: / ৪৯১ পঠিত
আপডেট: শনিবার, ২৭ জুন, ২০২০

এসএম আবুল বাশার ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :-    ফরিদপুরে এখনো কাকডাকা ভোরে লাঙ্গল জোয়াল কাঁধে কৃষক ছুটে যান মাঠ বেলা হলেই কৃষাণী ছুটে যান খাবার নিয়ে কৃষকের দ্বারে। আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্য, মাঠের খেতে বা আইলে কৃষকের খাবার-দাবার। কাজের ফাঁকে সকালের নাস্তা আর দুপুরের খাবার সারেন তারা। এই প্রথা চলে আসছে আদিকাল থেকে এই প্রবণতা প্রচলন এখনো বহমান ফরিদপুরের নয়টি উপজেলার কৃষক ক্ষেতমজুর দের মাঝে  । ভোর বা সকালে কৃষক ও শ্রমিক চলে যান মাঠের খেতের কাজে। কাঁধে থাকে লাঙল-জোয়াল, মই। কারো হাতে কাস্তে বা হাসুয়া। কেউবা কোদাল হাতে মাঠে চলে যায়। রোদ, ঝড়-বৃষ্টিতে একমনে কাজ করেন তারা। সকালে বাড়ি ছাড়েন বলে নাস্তা ও দুপুরের খাবারটি মাঠে সারেন তারা। কৃষান বধূরা গামছায় বেঁধে নাস্তা নেন। কোনো সময় দুপুরে পোঁটলায় বেঁধে প্রিয় মানুষটির খাবার নিয়ে যান। সঙ্গে থাকে  তরকারি, ভর্তা, কাঁচামরিচ আর পেঁয়াজ। তরকারি বাসি কিংবা টাটকা এবং পদ যাই থাক পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ থাকতেই হবে পাতে। কাজের ফাঁকে মাঠের খেতে বা আইলে কিংবা উঁচু জায়গায় বসে খাবার খান। খাওয়াদাওয়া শেষে কৃষানি বধূ বাড়ির পানে ফিরেন। কৃষক আব্দুর রহিম বলেন অন্যের জমিতে কাজ করছি। আসার সময় সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার আনার জন্য স্ত্রী বলেছি। খাবার আসলে পরিবারের সবাই মিলে মাঠের খেতে বা আইলে বসে খাবার খেয়ে নেব। এর মধ্যে অন্য রকম মজাই আছে যা কাউকে বোঝানো যাবে না।মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির কারণে লাঙল-জোয়াল কিছুটা কমেছে। তবে  কৃষক ও শ্রমিকদের সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার রেওয়াজ চালু রয়েছে। সেই সঙ্গে এই জনপদে ফেনাভাত খিচুড়ি সাথ বিভিন্ন প্রকার ভর্তা  ঙখাওয়ার প্রচলন অনেক বেশি রয়েছে   ফরিদপুরের গ্রামবাংলার ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলাম ও মোঃ তবিবুর রহমান বলেনগ্রা মীণ ঐতিহ্য হচ্ছে মাঠে-ঘাটে কৃষক ও শ্রমিকের খাবার-দাবার খাওয়ার প্রচলন এখনো রয়েছে কৃষক কাকডাকা ভোরে লাঙল-জোয়াল নিয়ে খেতে আসেন কাজ করার জন্য আর কিষানি ঘুম থেকে উঠে বাড়ীর প্রাথমিক কাজ সেরে নাস্তা তৈরি করেন এবং সেই তৈরি করা নাস্তা নিয়ে কৃষকের ক্ষেতে ছুটে আসেন নাস্তা খাওয়ানোর জন্য। এই প্রথা এখনো চালু রয়েছে ফরিদপুরের জমির বুকের পড়ে কৃষাণের সেই ভাত নিয়ে চলা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ