• শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
শান্তি ও সহযোগিতার বিশ্ব গড়তে জাতিসংঘকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে : অধ্যাপক ইউনূস,,, প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা যমুনায় যেতে চাইলে শাহবাগে আটকে দেয় পুলিশ,,, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে,, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণার প্রজ্ঞাপন স্থগিত,,, নভেম্বরে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান,,, নির্বাচনের নিরপেক্ষতা রক্ষায় বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বাদ দিতে ইসিতে দাবিপত্র,,,, বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ, কিছু রাজনৈতিক দল সঠিক সময়ে নির্বাচন না চাওয়ার চেষ্টা করছে,,, ইভিএম বিলুপ্ত, প্রার্থীর বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক,,, কলাপাড়ার খালগুলো এখন শুধুই ইতিহাস,, কলাপাড়া প্রেসক্লাবে প্রয়াত সাংবাদিক বশির উদ্দিন বিশ্বাসের পঞ্চম স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত,,,,

এখনো নাস্তা খান চাষীজমির পাশে ফরিদপুরের কৃষকরা।

রিপোর্টার: / ৪৫০ পঠিত
আপডেট: শনিবার, ২৭ জুন, ২০২০

এসএম আবুল বাশার ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :-    ফরিদপুরে এখনো কাকডাকা ভোরে লাঙ্গল জোয়াল কাঁধে কৃষক ছুটে যান মাঠ বেলা হলেই কৃষাণী ছুটে যান খাবার নিয়ে কৃষকের দ্বারে। আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্য, মাঠের খেতে বা আইলে কৃষকের খাবার-দাবার। কাজের ফাঁকে সকালের নাস্তা আর দুপুরের খাবার সারেন তারা। এই প্রথা চলে আসছে আদিকাল থেকে এই প্রবণতা প্রচলন এখনো বহমান ফরিদপুরের নয়টি উপজেলার কৃষক ক্ষেতমজুর দের মাঝে  । ভোর বা সকালে কৃষক ও শ্রমিক চলে যান মাঠের খেতের কাজে। কাঁধে থাকে লাঙল-জোয়াল, মই। কারো হাতে কাস্তে বা হাসুয়া। কেউবা কোদাল হাতে মাঠে চলে যায়। রোদ, ঝড়-বৃষ্টিতে একমনে কাজ করেন তারা। সকালে বাড়ি ছাড়েন বলে নাস্তা ও দুপুরের খাবারটি মাঠে সারেন তারা। কৃষান বধূরা গামছায় বেঁধে নাস্তা নেন। কোনো সময় দুপুরে পোঁটলায় বেঁধে প্রিয় মানুষটির খাবার নিয়ে যান। সঙ্গে থাকে  তরকারি, ভর্তা, কাঁচামরিচ আর পেঁয়াজ। তরকারি বাসি কিংবা টাটকা এবং পদ যাই থাক পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ থাকতেই হবে পাতে। কাজের ফাঁকে মাঠের খেতে বা আইলে কিংবা উঁচু জায়গায় বসে খাবার খান। খাওয়াদাওয়া শেষে কৃষানি বধূ বাড়ির পানে ফিরেন। কৃষক আব্দুর রহিম বলেন অন্যের জমিতে কাজ করছি। আসার সময় সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার আনার জন্য স্ত্রী বলেছি। খাবার আসলে পরিবারের সবাই মিলে মাঠের খেতে বা আইলে বসে খাবার খেয়ে নেব। এর মধ্যে অন্য রকম মজাই আছে যা কাউকে বোঝানো যাবে না।মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির কারণে লাঙল-জোয়াল কিছুটা কমেছে। তবে  কৃষক ও শ্রমিকদের সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার রেওয়াজ চালু রয়েছে। সেই সঙ্গে এই জনপদে ফেনাভাত খিচুড়ি সাথ বিভিন্ন প্রকার ভর্তা  ঙখাওয়ার প্রচলন অনেক বেশি রয়েছে   ফরিদপুরের গ্রামবাংলার ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলাম ও মোঃ তবিবুর রহমান বলেনগ্রা মীণ ঐতিহ্য হচ্ছে মাঠে-ঘাটে কৃষক ও শ্রমিকের খাবার-দাবার খাওয়ার প্রচলন এখনো রয়েছে কৃষক কাকডাকা ভোরে লাঙল-জোয়াল নিয়ে খেতে আসেন কাজ করার জন্য আর কিষানি ঘুম থেকে উঠে বাড়ীর প্রাথমিক কাজ সেরে নাস্তা তৈরি করেন এবং সেই তৈরি করা নাস্তা নিয়ে কৃষকের ক্ষেতে ছুটে আসেন নাস্তা খাওয়ানোর জন্য। এই প্রথা এখনো চালু রয়েছে ফরিদপুরের জমির বুকের পড়ে কৃষাণের সেই ভাত নিয়ে চলা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ