• শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অপচেষ্টা রুখে দিতে সাধারণ ছাত্র-জনতার প্রতি আহ্বান’,,, কাল থেকে কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা,,, শিরোনাম: নির্বাচনের দিনই গণভোট—অন্যথায় জাতি মানবে না: মির্জা ফখরুল,,, ইসির প্রস্তুতি সম্পন্ন, ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই জাতীয় নির্বাচন,,, বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আসা ছিল দেশের টার্নিং পয়েন্ট: ফখরুল,,, জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই: প্রেস সচিব,,, পাইকারিতে দাম কমলেও খুচরা বাজারে প্রভাব নেই,, গুম প্রতিরোধ অধ্যাদেশ অনুমোদন: সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, বিচার শেষ করতে হবে ১২০ দিনে,,, শুক্রবার ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পাকিস্তানে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত দুই বাংলাদেশি তরুণ,,

এখনো নাস্তা খান চাষীজমির পাশে ফরিদপুরের কৃষকরা।

রিপোর্টার: / ৪৫৬ পঠিত
আপডেট: শনিবার, ২৭ জুন, ২০২০

এসএম আবুল বাশার ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :-    ফরিদপুরে এখনো কাকডাকা ভোরে লাঙ্গল জোয়াল কাঁধে কৃষক ছুটে যান মাঠ বেলা হলেই কৃষাণী ছুটে যান খাবার নিয়ে কৃষকের দ্বারে। আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্য, মাঠের খেতে বা আইলে কৃষকের খাবার-দাবার। কাজের ফাঁকে সকালের নাস্তা আর দুপুরের খাবার সারেন তারা। এই প্রথা চলে আসছে আদিকাল থেকে এই প্রবণতা প্রচলন এখনো বহমান ফরিদপুরের নয়টি উপজেলার কৃষক ক্ষেতমজুর দের মাঝে  । ভোর বা সকালে কৃষক ও শ্রমিক চলে যান মাঠের খেতের কাজে। কাঁধে থাকে লাঙল-জোয়াল, মই। কারো হাতে কাস্তে বা হাসুয়া। কেউবা কোদাল হাতে মাঠে চলে যায়। রোদ, ঝড়-বৃষ্টিতে একমনে কাজ করেন তারা। সকালে বাড়ি ছাড়েন বলে নাস্তা ও দুপুরের খাবারটি মাঠে সারেন তারা। কৃষান বধূরা গামছায় বেঁধে নাস্তা নেন। কোনো সময় দুপুরে পোঁটলায় বেঁধে প্রিয় মানুষটির খাবার নিয়ে যান। সঙ্গে থাকে  তরকারি, ভর্তা, কাঁচামরিচ আর পেঁয়াজ। তরকারি বাসি কিংবা টাটকা এবং পদ যাই থাক পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ থাকতেই হবে পাতে। কাজের ফাঁকে মাঠের খেতে বা আইলে কিংবা উঁচু জায়গায় বসে খাবার খান। খাওয়াদাওয়া শেষে কৃষানি বধূ বাড়ির পানে ফিরেন। কৃষক আব্দুর রহিম বলেন অন্যের জমিতে কাজ করছি। আসার সময় সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার আনার জন্য স্ত্রী বলেছি। খাবার আসলে পরিবারের সবাই মিলে মাঠের খেতে বা আইলে বসে খাবার খেয়ে নেব। এর মধ্যে অন্য রকম মজাই আছে যা কাউকে বোঝানো যাবে না।মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির কারণে লাঙল-জোয়াল কিছুটা কমেছে। তবে  কৃষক ও শ্রমিকদের সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার রেওয়াজ চালু রয়েছে। সেই সঙ্গে এই জনপদে ফেনাভাত খিচুড়ি সাথ বিভিন্ন প্রকার ভর্তা  ঙখাওয়ার প্রচলন অনেক বেশি রয়েছে   ফরিদপুরের গ্রামবাংলার ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলাম ও মোঃ তবিবুর রহমান বলেনগ্রা মীণ ঐতিহ্য হচ্ছে মাঠে-ঘাটে কৃষক ও শ্রমিকের খাবার-দাবার খাওয়ার প্রচলন এখনো রয়েছে কৃষক কাকডাকা ভোরে লাঙল-জোয়াল নিয়ে খেতে আসেন কাজ করার জন্য আর কিষানি ঘুম থেকে উঠে বাড়ীর প্রাথমিক কাজ সেরে নাস্তা তৈরি করেন এবং সেই তৈরি করা নাস্তা নিয়ে কৃষকের ক্ষেতে ছুটে আসেন নাস্তা খাওয়ানোর জন্য। এই প্রথা এখনো চালু রয়েছে ফরিদপুরের জমির বুকের পড়ে কৃষাণের সেই ভাত নিয়ে চলা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ