মোঃ রাজু আহম্মেদ, মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃকালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের গত আট মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে প্রতিবাদ সভা করেছেন নন- এমপিও শিক্ষক ও কর্মচারীরা।গতকাল দুপুরে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে তারা প্রতিবাদ সভা করেন। এ সময় নন-এমপিও শিক্ষক ও কর্মচারীরা জানান, বাংলাদেশে করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে ৮ মাস কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের ৭২ জন শিক্ষক ও প্রায় ৩০ জন কর্মচারীরা বেতন- ভাতা পাচ্ছে না। করোনার এই মহামারী সময়ে ৮ মাস বেতন না পেয়ে তারা খুবই মানবেতর জীবন পাড় করছেন। প্রতিবাদ সভায় শিক্ষকরা, কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ হাসানুর সিরাজীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ তোলেন।প্রতিবাদ সভায় কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান ইয়াকুব খান বলেন, শিক্ষা দান করাই হচ্ছে শিক্ষকদের কাজ। কিন্তু আজ বাধ্য হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। আমাদের দুর্দশার কথা জানানোর জন্য। শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন ও ভাতার ব্যাপারে যতোবার অধ্যক্ষের সাথে আমরা দেখা করতে চেয়েছি তিনি দেখা করেননি বারবার আমাদের রিফিউজ করেছেন।সভায় কলেজের জেষ্ঠ্য শিক্ষক কাজী কামারুজ্জামান বলেন, অধ্যক্ষ সাহেবের কার্যকলাপের জন্য আমরা তাকে উদ্ভট, অদক্ষ ও দুর্নীতিবাজ বলে থাকি। তিনি কালকিনি উপজেলায় তার কিছু অনুসারী তৈরি করেছেন। যাদের দিয়ে প্রায় সময় হুমকি ধামকি দিয়ে শিক্ষকদের দমানোর প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন। অধ্যক্ষের এই কর্মকান্ডের জন্য দীর্ঘদিনের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধবংসের দ্বার প্রান্তে চলে আসছে। আমরা তার পদত্যাগ চাই, নয়তো সঠিক সমাধান চাই।এই সম্পর্কে জানতে চাইলে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ হাসানুর সিরাজী বলেন, করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ও যথাসময়ে টিউশন ফি আদায় না হওয়ায় নন-এমপিও শিক্ষক ও কর্মচারীদের বকেয়া বেতন- ভাতা দেওয়া যাচ্ছে না। তারা বিপদে পড়েছেন কিন্তু এ বিষয়ে এই মুহুত্তে আমার কিছু করার ও নেই। আার শিক্ষকরা বেতন- ভাতা না পেয়ে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়েই নানা অভিযোগ ও অশ্লীল ভাষায় কথা বলছে।কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মোঃ আলমগীর হোসেন মুঠোফোনে এই ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঢাকা থেকে আসতেছি, আমার এ বিষয়ে কোন তথ্য জানা নেই বলে তিনি জানিয়েছে।
You cannot copy content of this page