• মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দেশীয় কাগজশিল্পের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে হবে,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা সার্কের স্থবিরতায় চীন-পাকিস্তানের নতুন জোট পরিকল্পনা, আলোচনায় বাংলাদেশ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে দ্রুত কাজ করতে চায় চীন: মির্জা ফখরুল,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি সরাসরি সম্প্রচার কাল,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা এনবিআরে সব চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস ঘোষণা—গ্রেজেট প্রকাশ,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ১ জুলাই : আওয়ামী লীগ শাসন পতনের অভূতপূর্ব সূচনা,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি পালনে ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটি গঠন বিএনপির,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা প্লাস্টিক দূষণ প্রতিবেশ ব্যবস্থা ও বন্যপ্রাণীর জন্য হুমকি,,,,, দৈনিক ক্রাইম বাংলা স্মল লোনস, বিগ ড্রিমস : মুহাম্মদ ইউনূস, গ্রামীণ ব্যাংক এবং দি গ্লোবাল মাইক্রোফাইনান্স রেভল্যুশন শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন,,,,,, দৈনিক ক্রাইম বাংলা নির্বাচনী আচরণবিধির খসড়া: পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্রচারপত্র, লিফলেট, ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা


সার্কের স্থবিরতায় চীন-পাকিস্তানের নতুন জোট পরিকল্পনা, আলোচনায় বাংলাদেশ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

রিপোর্টার: / ১৫ পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫


দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থার মধ্যে থাকায় পাকিস্তান ও চীন যৌথভাবে একটি নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে। এই নতুন জোটের উদ্দেশ্য হচ্ছে আঞ্চলিক বাণিজ্য, যোগাযোগ এবং রাজনৈতিক সংহতি বাড়ানো। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সোমবার (৩০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ করেছে।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চীন ও পাকিস্তান বেশ কয়েক মাস ধরে নতুন এই আঞ্চলিক উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এ নিয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিক কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, দুই দেশই মনে করে দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য নতুন জোটের প্রয়োজন।

এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে চীনের কুনমিং শহরে পাকিস্তান, চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৯ জুন অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে তিন দেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা অংশ নেন। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল সার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে নতুন এই প্রস্তাবিত জোটের বিষয়ে আলোচনা এবং তাদের এতে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ।

ভারতকেও এই নতুন জোটে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো। তবে ভারতের ভিন্ন রাজনৈতিক স্বার্থ ও আঞ্চলিক নীতি বিবেচনায় তাদের ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করা হচ্ছে।

শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং আফগানিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ নতুন এই আঞ্চলিক গোষ্ঠীতে যুক্ত হতে পারে বলে একাধিক কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে জানানো হয়েছে। এই জোট গঠনের মূল লক্ষ্য হবে বাণিজ্য, সংযোগ এবং আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করা।

সার্কের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, একসময় এই সংস্থাকে দক্ষিণ এশিয়ার ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন’ হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্কের কারণে সার্ক কখনোই প্রত্যাশিতভাবে সক্রিয় হতে পারেনি। ২০১৬ সালে ইসলামাবাদে সার্কের সর্বশেষ শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও ভারত তা বয়কট করে। সে সময় ভারতের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের তৎকালীন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারও সম্মেলনে যোগ দেয়নি। সেই থেকে সার্ক কার্যত অচল অবস্থায় রয়েছে।

সম্প্রতি সার্ক আরেকটি বড় ধাক্কা খেয়েছে, যখন পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত, পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের জন্য সার্কের আওতাধীন বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল করে দেয়। এতে আঞ্চলিক সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে পড়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে চীন ও পাকিস্তান মনে করছে, আঞ্চলিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য নতুন একটি আঞ্চলিক জোট গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে। তারা বিশ্বাস করে, সমমনা দেশগুলো একত্রিত হলে বাণিজ্যিক ও কৌশলগতভাবে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে।

অন্যদিকে, ভারতের সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানও এই প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভারত সম্প্রতি সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) দিকেও তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বশেষ দুইটি এসসিও সম্মেলনে অংশ নেননি। চীন, রাশিয়া, ইরান, পাকিস্তানসহ মধ্য এশিয়ার একাধিক দেশ সদস্য হিসেবে থাকা এসসিও-কে প্রায়ই পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হয়। তবে ভারতের নীতিগত ভিন্নতা এবং পশ্চিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে তারা অনেক সময় এসব জোটের সঙ্গে পুরোপুরি খাপ খাওয়াতে পারছে না।

পর্যবেক্ষকদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক জোটের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং আস্থা সংকট বহু পুরনো সমস্যা। তাই নতুন জোট বাস্তবায়ন হলেও সেটি কতটা কার্যকর হবে, তা ভবিষ্যৎই বলে দেবে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ