এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।
প্রায় এক বছর আগে বরিশালে এক অনুষ্ঠানে বসে স্কুল শিক্ষক মহিবুল্লাহ সুমনের সঙ্গে ঝালকাঠী সদর উপজেলার এক যুবতীর পরিচয় হয়। তারা দুজনেই এলএলবিতে অধ্যয়নরত এবং ব্যাচমেট। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে এবং একাধিকবার তারা শাররীক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সুমন ওই যুবতীর সঙ্গে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে সে তার বাড়িতে অবস্থান নেয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ই এপ্রিল) সকাল থেকে ওই যুবতী সুমনের বাড়িতে রয়েছে। বর্তমানে স্কুল শিক্ষক সুমন পলাতক রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব হাজিপুর গ্রামে। সমুন নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আক্কেলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
ওই যুবতী বলেন, সুমন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে একাধিকবার শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়েছে। পরে আমি তাকে বিয়ের জন্য বলি। কিন্তু সে বিভিন্ন তালবাহানা করে। পরবর্তীতে আমি তার বাড়িতে অবস্থান নেয়ার পর সে আমাকে ফোন দিয়ে বরিশাল যেতে বলে। আমি তার কথায় রাজি হইনি। আমাকে সুমন এবং তার পরিবার, মেনে না নিলে আমি আত্মহত্যা করবো।
শিক্ষক সুমনের পিতা মোঃ বাশার সিকদার জানান, এই মেয়ে আমাদের বাড়িতে আসার পরই আমার ছেলেকে খুজে পাচ্ছিনা। এখন এই মেয়েকে নিয়ে আমরা নিজেরাই সমস্যায় ভুগছি।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন এব্যাপারে বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এঘটনা আপনার থেকেই প্রথম শুনলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।