ভোলার লালমোহন পৌরশহরের চৌরাস্তার মোড়ের দক্ষিণ পাশে ও মোল্লা জামে মসজিদের উত্তর পাশের রাস্তার পূর্বপাশের দোকানগুলোতে ভয়াবহ আগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ১৪টি দোকান মালামালসহ পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকাল ৩টায় মোবাইল ও প্রসাধনী দোকানের মাঝ থেকে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর আস্তে আস্তে আগুনের লেলিহান শিখা শুরু হলে ব্যবসায়ীরা লালমোহন ফায়ার সার্ভিসে এবং ৯৯৯ এ কল করে। এর মধ্যে ব্যবসায়ীরা পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রচন্ড গরমের কারণে আগুন পাশের দোকানগুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এরপর লালমোহনের ফায়ার সার্ভিস আসলে তাদের সহায়তায় ও স্থাণীয় ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়। আগুন লাগার খবর পেয়ে বোরহানউদ্দিন ও চরফ্যাশন ফায়ার সার্ভিসের লোকজন চলে আসে। প্রায় ২ ঘন্টা ৪টি ইউনিটের চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে ১৪টি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। দোকানগুলোর মধ্যে ছিল মোবাইল, লাইব্রেরি, লেপ তোষক, কাপড়ের ও প্রসাধনীর। মোট কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপনের চেষ্টা চলছে। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে শরিফুল (৩৫) নামের লালমোহন জোন ফায়ার সার্ভিস কর্মী সহ ৬/৭ জন গুরুতর আহত হয়ে লালমোহন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ভোলা-০৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন তাৎক্ষনিক ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লীষ্ট সকলকে কাজ করার নির্দেশ দেন এবং সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি জানান অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত নিরুপনের চেষ্টা চলছে এবং লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনসহ সার্বিক সহযোগিতা করার জন্যও নির্দেশ দেন।