• সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কলাপাড়ায় বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কলাপাড়ায় আন্ধারমানিক নদীতে ইলিশ শিকার: তিন জেলেকে জরিমানা,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক — এবিএম মোশাররফ হোসেন,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার এমপি প্রার্থী বীথিকার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। ভোলায় অস্বচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করতে ভোলায় বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় আগুনে পুড়ে তিন দোকান ভস্মীভূত।। দোকান মালিকদের ঢেউটিন, নগদ টাকা ও শুকনা খাবার বিতরণ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্ম বিরতি/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় ৩ জেলেকে জরিমানা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক — এবিএম মোশাররফ হোসেন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

সাকার মাছ দেশীয় মাছ উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু।। / ১৮৫ পঠিত
আপডেট: সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি।।

সাকার ফিস (Sucker Fish) নামেই পরিচিত, যার বৈজ্ঞানিক নাম Hypostomus Plecostomus. বেশ কয়েকবছর যাবত মাছ ধরতে যেয়ে হরহামেশা সাকার ফিস পাওয়া যাচ্ছে। তখন এটি নিয়ে এতোটা উদগ্রীব না হলেও, এখন হচ্ছে। কারন, বর্তমানে সারাদিন বড়শি বা জাল ফেললে শুধু সাকার ফিসই উঠে আসে। খাদ্য হিসেবে পৃথিবীর কোথাও এই মাছটি প্রচলিত নয়। এছাড়াও এর কিছু ভয়ঙ্কর ফলাফল আছে।

এখন সারা দেশে সাকার মাছ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দেশের অধিকাংশ জেলার নদ-নদীতে এ মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এ মাছ বুড়িগঙ্গার মতো দূষিত পানিতেও টিকে থাকতে পারে। দ্রুত প্রজননও ঘটায় মাছটি। পাশাপাশি মানুষ এই মাছ না খাওয়ায় এটি দ্রুত বাড়ছে ও ছড়িয়ে পড়ছে। সাকার দেশীয় প্রজাতির মাছের ডিম ও রেণু খেয়ে মাছের বংশবিস্তারে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এ মাছ যেকোনো পরিবেশে বাঁচতে পারে এবং দ্রুত বংশবৃদ্ধির কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছের সঙ্গে খাদ্য ও বাসস্থান নিয়ে প্রতিযোগিতা করে। মাছটি খাওয়া যায় না। সর্বোপরি সাকার মাছ জলজ জীববৈচিত্র্য নষ্ট করে। এমনকি এই মাছ ফ্রিজে বরফ বানিয়ে ফেললেও, অনেকদিন পর তা বের করে বরফ গলালে মাছ নড়াচড়া শুরু করে। মাছটি উভচর প্রাণী। পানি ছাড়া শুধুমাত্র মাটিতে মাসের পর মাস স্বাভাবিকভাবেই জীবন যাপন করতে পারে।

মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, সাকার মাছ নিষিদ্ধ করে পত্রের পত্রিকায় প্রজ্ঞাপন জারি করায় এখন চাইলে মানুষ এখন আর মাছটি আমদানি, রপ্তানি, ক্রয় বিক্রয় বা অ্যাকুয়ারিয়ামে পালন বা কিংবা প্রজনন কিছুই করতে পারবেন না। তবে মাছটি আগে থেকেই ছড়িয়ে এসেছে, সেক্ষেত্রে এখন সবার এই বিষয়টি জরুরি ভাবে দেখা উচিত। কৃষি ও মৎস্যবিদরা মনে করেন,” সাকার মাছ এর জন্য অদূর ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। তাই, কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই বিষয়ে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করছেন সচেতন মহল। সেই সাথে যারা পুকুরে মাছ চাষ করে থাকেন তারাও মাছটি যাতে কোনোভাবে পুকুরে প্রবেশ না করতে পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে বলে জানান মৎস্য বিভাগ।”
মাছ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই দেশীয় মাছ রক্ষায় ভয়ংকর সাকার মাছ নিধন করা জরুরি।অন্যথায় দেশি মাছের সংকট দেখা দিতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ