• রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
শ্রীনগরে পর্ণোগ্রাফি আইনে সাংবাদিক কাইয়ুমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নওগাঁয় নবগঠিত কলেজ কমিটি পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা শিক্ষা মানুষকে রাষ্ট্রের উপযোগী করে গড়ে তোলে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা হৃদরোগ কেড়ে নিল ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালি জারিওয়ালাকে,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ড. ইউনূসের জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাল তারেক রহমান,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কালীগঞ্জে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীর আলোচনা সভা ও চারা গাছ বিতরণ,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা রোববারেও ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করবেন এনবিআর ঐক্য পরিষদ,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আগামী নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সবচাইতে ভালো নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা চট্টগ্রামে বিএসটিআই’র স্বয়ংসম্পূর্ণ ল্যাবরেটরি উদ্বোধন,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কলাপাড়ায় সরকারী গাছ কাটা নিয়ে সংঘর্ষে আহত-২/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।


কক্সবাজার পর্যটনে যুক্ত হচ্ছে সি প্লেন ও ক্যাবলকার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন,কক্সবাজার থেকে। / ১৫১ পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন।।
কক্সবাজারে ব্যাপক উন্নয়নের কাজ করছে সরকার। ব্যাপক গুরুত্ব দিচ্ছে পর্যটন খাতে। তারই অংশ হিসেবে মালদ্বীপের আদলে সাজানো হচ্ছে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন। কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনে সি-প্লেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে করে বছরজুড়ে পর্যটকরা সেখানে যেতে পারেন। তবে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় সীমিত পর্যটক সেখানে ভ্রমণে করতে পারবে। এ জন্য পর্যটকদের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এছাড়া কক্সবাজার টু মহেশখালী এবং কক্সবাজার টু টেকনাফ ক্যাবল কার স্থাপন করা হবে। এতে করে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের বিনোদনে যুক্ত হবে ভিন্ন মাত্রা। এতে সন্তুুষ্টির পাশাপাশি আশার বুক বেঁধে আছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সচেতন মহল। তারা বলছেন এই প্রস্তাব যেন ফাইল বন্দি না থাকে।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার জানান, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের জন্য মাস্টার প্ল্যান চলছে। সেন্টমার্টিনকে কিভাবে পরিবেশবান্ধব করা যায়, পর্যটকদের জন্য কিভাবে ভালো বিনোদনের ব্যবস্থা করা যায়, কিভাবে টেকসই পদ্ধতিতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যায়। এই পরিকল্পনা চলছে। এরই মধ্যে মালদ্বীপের রিসোর্ট গ্রুপগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে, তাদের কাছ থেকে কারিগরি পরার্মশ নিয়ে সেন্টমার্টিনও কিভাবে সাজানো যায় তারও চেষ্টা চলছে। তারই অংশ হিসেবে সরকার সি-প্লেন ও ক্রজ চালুর পরিকল্পনা চলছে। এটি চালু হলে সারাবছর সেন্টমার্টিন যাওয়া যাবে। এখন মাত্র ৪-৫ মাস (পর্যটন মৌসুম) সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়।
চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, কক্সবাজারে ব্যাপক উন্নয়ননের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। তার মধ্যে কক্সবাজার টু মহেশখালী এবং কক্সবাজার টু টেকনাফ ক্যাবল কার স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে বিশাল আন্ডার সি অ্যাকুরিয়াম, সার্কুলার বাস টার্মিনাল, মেরিনা বে রিসোর্ট, খুরুশকুল স্মার্ট সিটি, থিম পার্ক, ইকো রিসোর্ট, চৌফলদন্ডীতে রিভাররেইন ট্যুরিজম করা হচ্ছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন পর্যটন নগরীর উন্নয়নের কাজগুলো বাস্তবায়ন হলে পর্যটন সেবায় যুক্ত হবে ভিন্ন এক মাত্রা। তাদের প্রত্যাশা এই কার্যক্রম যেন ফাইল বন্দি না থাকে।
টুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম কিবরিয়া খান জানান, কক্সবাজারে একে একে বাস্তবায়ন হচ্ছে মেগা প্রকল্প। এসব উন্নয়ন এখন দেখার মত। সাথে এগিয়ে যাচ্ছে পর্যটন শিল্প। সামনে বাস্তবায়ন হতে যাওয়া সি-প্লেন এবং ক্যাবল কার সম্পন্ন হলে পর্যটন সেবা আরো উন্নত হবে। এরমধ্য দিয়ে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আরো ভালোভাবে সেবা প্রদান করা যাবে। তবে এই কাজ যেন বন্ধ না হয়।
সচেতন যুবক এইচ এম  হুমায়ন কবির জানান, সি-প্লেন এবং ক্যাবল কার এই দুইটি উদ্যোগ যদি বাস্তবায়ন হয়, তাহলে পাল্টে যাবে পর্যটনের চিত্র। তবে প্রত্যাশা এই প্রস্তাবগুলো যেন ফাইল বন্দি হয়ে না থাকে। কারণ বাস্তবতায় দেখে হয়েছে অনেক স্বপ্নের প্রকল্প এখনো ফাইল বন্দি হয়ে রয়েছে।
টুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) এর দপ্তর সম্পাদক ফারুক আজম জানান, পর্যটক সেবায় সি-প্লেন এবং ক্যাবলকার চালু হলে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থার তৈরি হবে। পাশাপাশি পর্যটন খাতে রোল মডেলে পরিণত হবে কক্সবাজার।
সচেতন নারী আফরিন নওরীন  জানান, কক্সবাজারে বসেই মালদ্বীপের স্বাদ পাওয়া যাবে, যদি পর্যটন সেবায় সি-প্লেইন আর ক্যাবল কার বাস্তবায়ন হয়। এতে পর্যটন নগরী আরো অনেক বেশি উন্নত হবে।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যত দ্রুত সম্ভব এই উন্নয়নগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে এবং মেগা প্রকল্পসহ অনেক প্রজেক্ট চলমান রয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে হাতে নেয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো শেষ করে একটি উন্নত মডেল কক্সবাজার উপহার দেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ