• শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আইনজীবী ও বিচারক একই পাখির দু’টি ডানা। বিচার প্রার্থী মানুষ ন্যায় বিচার পাবে এদের সমন্বয়ে’ ………মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। আমতলীতে কাঠের ব্রীজই লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের ভরসা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। যথার্থ জুলাই যোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধারা সরকারী রেভিনিউ পাক …..উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতিক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। রিও প্রগতি মানবতা অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত ‘আমরা কলাপাড়াবাসীথ সংগঠন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। চার্জশিটে নাম আসা ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনা সদর কলাপাড়ায় বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা পাচ্ছে ৭২ হাজার ৪৩০ শিশু উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই: আইন উপদেষ্টা প্রিজাইডিং অফিসারই হবেন সেই কেন্দ্রের ‘চিফ ইলেকশন অফিসার’ : সিইসি নাসির উদ্দিন পানপট্টি-বোয়ালিয়া দুই ইউনিয়নের সংযোগ সেতুর বেহাল দশা, দুর্ভোগে হাজারো বাসিন্দা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সামছুউদ্দিন রাজুকে সভাপতি ও তারিকুল ইসলাম কে সম্পাদক করে গাজীপুর জেলায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া চক্র’র আংশিক কমিটি গঠিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

সোনাইল (হোনাইল), কাঁচা সোনা রঙের সৌন্দর্যে মাতোয়ারা করে রাখে প্রকৃতিকে/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

এম জাফরান হারুন।। / ৬৮৭ পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪

এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।। 

গ্রীষ্মের তীব্র গরমে প্রকৃতিকে প্রাণবন্ত করে যেসব ফুল ফোটে তাদের মধ্যে অমলতাস বা সোনাইল (হোনাইল) নাম উল্লেখযোগ্য। সমস্ত বসন্ত জুড়ে প্রস্তুতি নিয়ে সোনাইলের (হোনাইল) ঘুম ভাঙে বৈশাখের শুরুতে। পুষ্পিত অমলতাস তখন কাঁচা সোনা রঙের সৌন্দর্যে মাতোয়ারা করে রাখে প্রকৃতিকে। এর বাংলা নাম : অমলতাস, সোনালু, সোনাইল, সোঁদাল, বাঁদরলাঠি, অলানু, কর্ণিকা।

ইংরেজি নাম : Golden shower , purging cassia, Indian laburnum. বৈজ্ঞানিক নাম : Cassia fistula. দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই ফুল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, থাইল্যান্ডে দেখা মেলে। এটি থাইল্যান্ডের জাতীয় ফুল এবং কেরালা-র রাজ্য পুষ্প। থাইল্যান্ডে একে Ratchaphruek বা Dok Khuen বলে। অনেকে আবার Thais ও ডেকে থাকে।

পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় তথা বাউফল উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা ঘাটে, খালের পাড়ে, পুকুর পাড়ে এবং বাড়ির ভীতিরে বা বিভিন্ন ঝাড়জঙ্গলে রয়েছে। তবে আগের মতো আর তেমন একটা দেখা যায় না। রয়েছে বিলুপ্তির পথে। রৌদ্র এবং যে মাটিতে পানি জমে থাকে না সেখানে এটি ভালো জন্মায়।

মাঝারী আকারের এই বৃক্ষটি প্রায় ১০-১৫ মিটার পর্যন্ত উচু হতে দেখা যায়। ডালপালা ছড়ানো-ছিটানো, নিবিড় হয়। ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে এর পাতা ঝরে যায় এবং বৈশাখে নতুন কচি কলা পাতা রংয়ের পাতা গজাতে দেখা যায়, তারপরই গাছে ফুল ফুটতে শুরু করে। ১৫-২০ সেন্টিমিটার লম্বা গাঢ় সবুজ রঙের পাতাগুলি যৌগিক, মসৃণ ও ডিম্বাকৃতির হয়। গ্রীষ্মের শুরুতে দু-একটি কচি পাতার সঙ্গে ফুল ফুটতে শুরু করে। হলুদ সোনালী রঙের অসংখ্য ফুল সারা গাছে ঝাড় লণ্ঠনের মতো ঝুলতে থাকে। দীর্ঘ ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা মঞ্জরীদণ্ডে ঝুলে থাকা ফুলগুলো দৈর্ঘ্যে ২ থেকে ৪ সেন্টিমিটার এবং ৪-৭ সেন্টিমিটার ব্যাসের হয়, পাপড়ির সংখ্যা পাঁচ। এর উন্মুক্ত একাধিক পরাগদন্ড এবং পরাগধানী নজর কাড়ে। সবুজ রঙের একমাত্র গর্ভকেশরটি কাস্তের মতো বাঁকানো থাকে।

ফলগুলো গোল ও লাঠির মতো লম্বা হয়। এই গাছের ফল-ফুল ও পাতা বানরের প্রিয় খাবার। এ কারণে অমলতাস বা সোনাইল (হোনাইল) কিছু কিছু জায়গায় বাঁদরলাঠি নামেও পরিচিত। স্বাদে ফল হয় হাল্কা মিষ্টি। ফল পাকতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। পেকে গেলে নিজ থেকে ফল মাটিতে পড়ে বীজ ছড়িয়ে বংশ বিস্তার ঘটায়। তবে কলমের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার ঘটানো যায় না। বীজ সহজেই অঙ্কুরিত হয়, যদিও বৃদ্ধি মন্থর।

আয়ুর্বেদিক ঔষধে অমলতাস বা সোনাইল (হোনাইল) কে রোগ নাশক বলে থাকে। এর বীজ বিষাক্ত। ফলের বিভিন্ন অংশ বাত, বমি ও রক্তস্রাব প্রতিরোধে কর্যকরী। ফলের শাঁস রেচক ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া জ্বর, আর্থারাইটিস, স্নায়ুর বিভিন্ন রোগে, রক্তমোক্ষন রোগ এবং পাকস্থলির সমস্যা কোষ্ঠবদ্ধতা ও অগ্নিমান্দ্য ইত্যাদি রোগের ঔষধ তৈরীতে ব্যবহার করা হয়। বাকল রঙ ও ট্যানিংয়ের কাজে ব্যবহার করা হয়। এ গাছের কাঠ জ্বালানী ছাড়াও অন্যান্য কাজেও দরকার হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ