কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল
হাসান বলেছেন, সমুদ্র সম্পদ সংরক্ষন, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও সমুদ্র
নিরাপত্তায় কার্যকরী ভ‚মিকা পালন করছে নৌ-বাহিনী। বার্তমান সরকারের দিক
নির্দেশনায় ও পৃষ্ঠপোশকতায় বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী ও খুলনা শিপইয়ার্ডের
পেট্রল ক্র্যাফট ও লার্জ পেট্রল ক্র্যাফট নির্মানে স্বক্ষমতা অর্জন
করেছে। নৌবাহিনীকে আরও আধুনিক করা হচ্ছে। শনিবার সকালে পটুয়াখালীর
কলাপাড়ায় বানৌজা শের-ই-বাংলা প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত নৌবাহিনীর
এ/২০২৪ ব্যাচের ৪৩৮ জন নবীন নাবিকের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ এবং
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর স্কুল এন্ড কলেজের উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা
বলেন।
নৌবাহিনী প্রধান বলেন, জাতির পিতার আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়
উজ্জীবিত হয়ে নবীন নাবিকরা বংলাদেশের সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা বিধানের
পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন
করবে। তিনি দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও অগ্রগতির পথে সঠিকভাবে দায়িত্ব
পালনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া পেশা হিসেবে দেশ সেবা ও দেশ
গড়ার পবিত্র দায়িত্বকে বেছে নেওয়ায় নৌবাহিনী প্রধান নবীন নাবিকদের
ধন্যবাদ জানান।
এসময় তিনি প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে তিনি কৃতিত্বপূর্ণ
ফলাফল অর্জনকারী ৪ নবীন নাবিককে পুরষ্কৃত করেন। নৌবাহিনীর এ/২০২৪ ব্যাচের
নবীন নাবিকদের মধ্যে মো.সাইফুর রহমান সাইফ সকল বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর
অর্জন করে সেরা চৌকশ নাবিক হিসেবে ‘নৌপ্রধান পদক’ লাভ করেন। মো. আল আবি
হুসাম দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ‘কমখুল পদক’ ও মোহাম্মদ শাহরিয়ার তৃতীয়
স্থান অধিকার করে ‘শের-ই-বাংলা পদক’ এবং মারিয়া আক্তার ‘প্রীতিলতা
ওয়াদেদ্দার পদক’ লাভ করেন।
শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান
বানৌজা শের- ই-বাংলায় নবনির্মিত বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ এর
উদ্বোধন করেন।
প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলে বহুদিন যাবৎ মান সম্পন্ন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে অভাব ছিল তা আজ পুরণ হতে যাচ্ছে। বানৌজা
শের-ই-বাংলা ঘাঁটির মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ
শৃঙ্খলাবোধ, সময় উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা ও দক্ষ শিক্ষকের নিবিড়
সান্নিধ্যে ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ পাবে। অত্যাধুনিক এ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে কম্পিউটার ল্যাব, প্রশস্ত খেলার মাঠ,
মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, লাইব্রেরি, বিএনসিসি কার্যক্রম, নৌ স্কাউট,
ক্যান্টিন এবং নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এমন কল্যাণকর
উদ্যোগে স্থানীয় জনগণ অত্যন্ত আনন্দিত। তারা মনে করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী
স্কুল এন্ড কলেজ এ অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক ও গুণগত পরিবর্তন
আনতে সক্ষম হবে।
মনোজ্ঞ এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সহকারী নৌ প্রধান (পার্সোনেল), খুলনা নৌ
অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার, জিওসি ৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার সহ
পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক
কর্মকর্তাবৃন্দ, নবীন নাবিকদের অভিভাবকগণ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ
উপস্থিত ছিলেন।