কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
শিক্ষা জাতীর মেরুদন্ড। জাতী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ কথা চিন্তা করে ১৯৫৯ সালে লালুয়া ইউনিয়ন এর চান্দুপাড়া গ্রামের দানবীর সুরাত খান জয়নব বিবি (এস,কে,জেবী) মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত করেন। দীর্ঘ ৬০ বছর যাবৎ বিদ্যালয়টি সুদক্ষ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। ২০১৬-২০১৭ সালে পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মানে বিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ এর আওতায় আসে। বিদ্যালয়টি অধিগ্রহনের আওতা থেকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা শুরু হলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জুনায়েদ খান নিজের স্বার হাসিলে জন্য বিদ্যালয়ের জমিদাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের না জানিয়ে তার চাচা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের লালুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ তারিকুল ইসলাম খান এর মাধ্যমে সাবেক দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ মহিববুর রহমান মহিব এমপি ও পায়রা সমুদ্র বন্দরের কর্মকর্তা পক্ষ নিয়ে চান্দুপাড়া গ্রামের থেকে ৬ কিঃমিঃ দুরে একই ক্যাসমেন্ড এরিয়ার বাহিরে লালুয়া জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ও হালিম খান দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন হাচনাপাড়া আবাসনে স্থাপনের জন্য পায়তারা চালায়। এখবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ছাত্র- ছাত্রী অভিভাবকবৃন্দ দফায় দফায় আন্দোলন সংগ্রাম মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ও শিক্ষামন্ত্রীসহ বিভিন্ন মহলে অভিযোগ দেন। তাতে কোনো সুরাহা না পেয়ে জমিদাতা ওয়ারিশ সদস্য মোঃ শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, জহির খানসহ ২৫ জন বাদী হয়ে ১০ জুলাই মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন ৯১৬৫/২০২৪ নং দায়ের করেন। রীট পিটিশন শুনানি শেষে ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে জেলা প্রশাসক,পটুয়াখালীকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বাদীপক্ষের আবেদনের বিষয়ে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ প্রদান করেন।
মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ প্রাপ্তিতে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরের কর্মকর্তা প্রজেক্ট ডিরেক্টর কমান্ডার মোঃ নাজমুল হক ২২ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহজাহান খান, প্রাক্তন ছাত্র সাংবাদিক আলহাজ্ব মোঃ এনামুল হক, প্রধান শিক্ষক মোঃ জুনায়েদ খান, সহকারী শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম মাওলানা মোঃ আল মামুন লালুয়া রহিম উদ্দিন বিশ্বাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কুদ্দুস খান, শিক্ষক মোঃ নুরুজ্জামান বাদল, জমিদাতা সদস্য মোঃ শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, মাহতাবউদ্দিন হাওলাদার, মোঃ জহিরুল ইসলাম খানসহ শতাধিক এলাকাবাসী।