• শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০২:০৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জেনে নিন হোয়াটসঅ্যাপে এআই ছবি বানানোর নিয়ম,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা এক নজরে দেখে নিন কে কার মুখোমুখি হচ্ছে শেষ ষোলোয়,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ডুন’ পরিচালকের হাত ধরে ফিরছেন জেমস বন্ড,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ইন্দুরকানীতে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা মসজিদে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে শহীদ হন মনির হোসেন,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বিতর্কিত তিন নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আইন মন্ত্রণালয় আগামী ৬ মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আগে স্থানীয় নির্বাচন দরকার, বললেন নুর,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বহুতল ভবন নয়, দীর্ঘশ্বাসের স্তূপ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা এবার দক্ষিণ লেবানলে বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা


দেড় কিলোমিটার রাস্তায় ৫ টি বাঁশের সাঁকো পার করতে হয় এই অঞ্চলের মানুষের/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

রিপোর্টার: / ৫৮ পঠিত
আপডেট: বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪


হাবিবুর রহমান,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাশেম মেম্বারের দোকান থেকে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তায় পাঁচটি বাঁশের সাঁকো রয়েছে। এতে এ অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে।বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটিতে স্বাভাবিক হাঁটাচলা করাটাই কষ্টকর হয়ে যায়। এসব সাঁকোর স্থলে রাস্তাটি মেরামত করে দুটি ছোট ব্রীজ নির্মাণ করলে মানুষের কষ্ট কমে যেতো।

জানা যায়, উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের এ রাস্তাটি ওই অঞ্চলর মানুষের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। রাস্তার পাশে রয়েছে জনতা বাজার মইনুল ইসলাম কওমী মাদ্রাসা, মানিকগঞ্জ বাজার দারুস সালাম কওমী মাদ্রাসা ও কে আলম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। আবার ওই তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

জনসাধারণের পাশাপাশি কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এসব সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। তবে ওই সাঁকোগুলো দিয়ে শিশু ও বৃদ্ধরা চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এর মধ্যে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী চরকালকিনি ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজারের অধিক মানুষের চলাচলের মাধ্যম এ রাস্তাটি।

জনতা বাজার মইনুল ইসলাম কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা ইউসুফ বলেন, আমাদের প্রধান সমস্যা এখন এ রাস্তাটি। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি বার বার ভেঙে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা মুফতী শরীফুল ইসলাম বলেন, জনবহুল ওই এলাকার মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তা মেঘনানদীর অস্বাভাবিক জোয়ার ও বর্ষাকালে অতি বৃষ্টির পানিতে ভেঙে যায়। বর্তমানে গ্রামবাসীর নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো দিয়ে মানুষ ও ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা চলাচল করছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহফুজুর রহমান রাজন মেম্বার বলেন,কয়েকবার ইউএনও ও পিআইও সাহেবকে সরেজমিনে পরিদর্শন করার ব্যবস্থা করেছি। মেঘনানদীর কাছাকাছি হওয়ায় মেরামত করলেই ভেঙে যায়। এখন প্রয়োজন খুব উঁচু করে রাস্তাটি মেরামত করা। এজন্য আমি আমাদের ইউএনও মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়া বলেন, রাস্তাটি ভেঙে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। দেখলে মনে হয় বড় খালের মত। আগে দেড় কিলোমিটার পুরো রাস্তাটি মেরামত করা প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সোহেল আনোয়ার বলেন,এর আগে কেউ তো আমাদেরকে জানায়নি। সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে রাস্তাটি মেরামতের উপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, মেঘনানদী ঘেঁষে রাস্তা হওয়ায় এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তবুও মানুষের চলাচল নির্বিঘ্নে করতে অবশ্যই উদ্যোগ নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ