স্টাফ রিপোর্টার ॥
বরিশাল জেলার হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জের নদী ভাঙ্গা প্রায় ১৪ হাজার একর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা মিজান মাঝির বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মিজান মাঝির নির্দেশে হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৯জন। আহতদের উদ্ধার করে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন, মোঃ ফরিদ মোল্লা ও জয়নাল জোমাদ্দার। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানাগেছে।
আহত সূত্রে জানাগেছে, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ ও হিজলা উপজেলার গবিন্দপুর ও গৌরভদী ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গা প্রায় ১৪ হাজার একর জমি জেগে উঠে। এ জমির মালিক এই দুই উপজেলার প্রায় এক হাজার মানুষের নামে রেকর্ড করা। সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে স্থানীয় যুবদল নেতা মিজানের নজর পরে ওই জমির উপরে। এর পর থেকে বিভিন্ন ভাবে মিজান ও তার দলবল ওই জমি দখলের চেষ্টা চালায়। তবে তথ্য মতে চরে জেগে ওঠা ওই জমির মধ্যে মিজান বা তার পরিবারের কোন জমি জমা নেই বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার সকালে জমির কয়েকজন মালিক জমিতে গেলে মিজানের নির্দেশে তার অনুসারী, বাকের দেওয়ান, সিডু সরদার, জসিম বেপারী, সবুজ দেওয়ান, বেল্লাল দেওয়ান, রিপন মাঝি, মারুফ দেওয়ান, জহিরসহ আরো প্রায় অর্ধশতাধীক লাঠিয়াল বাহীনি মিলে দেশীয় অস্ত্র শস্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় মিজান বাহিনীর হামলা প্রায় ১৯জন আহত হয়। এরা হলেন, মেহেন্দীগঞ্জের গবিন্দপুর ইউনিয়নের তেতুলীয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃতঃ সামসুদ্দিন মোল্লার ছেলে ফরিদ মোল্লা, একই এলাকার মন্টু জোমাদ্দারের ছেলে জয়নাল জোমাদ্দার, কাসেম জোমাদ্দার, বাহাউদ্দিন রাড়ী, ভুট্টো রাড়ীসহ আরো অনেকে।
এসকল বিষয়ে অভিযুক্ত মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার গবিন্দপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মিজানের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার সাথে কোন যোগাযোগ করা যায় নাই। এ বিষয়ে মেহেন্দীগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনা হিজলা থানার মধ্যে। তাই এ বিষয়ে অভিযোগ হিজলা থানায় হবে। ঘটনার বিষয়ে হিজলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, চরে জালপাতা নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে কোন পক্ষ এখন পযর্ন্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নাই। অভিযোগ পেলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।