মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সানার আল-তাহরির এলাকায় বসতবাড়ি, শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬০ নম্বর সড়কের একটি চিকিৎসাকেন্দ্র এবং আল-জাওফ প্রদেশের রাজধানী আল-হাজমের একটি সরকারি কমপাউন্ড সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এসব স্থানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ছড়িয়ে পড়ে এবং ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারে বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী কাজ করছে।
হুথি নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম আল-মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, হামলায় বহু মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। হুথি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি দাবি করেছেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে তাদের বাহিনী ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। এতে কিছু ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আকাশেই ফিরে যেতে বাধ্য হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে সানা ও আল-জাওফে অভিযান চালানোর কথা স্বীকার করেছে। তবে হামলার বিস্তারিত বিবরণ বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রকাশ করা হয়নি। অন্যদিকে, ইয়েমেন অয়েল অ্যান্ড গ্যাস করপোরেশন জানিয়েছে, সানার আল-সিত্তিন সড়কের একটি চিকিৎসাকেন্দ্রও বোমাবর্ষণের লক্ষ্যবস্তু হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কাতারের পর ইয়েমেনে হামলা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতকে আরও জটিল ও উদ্বেগজনক করে তুলেছে। একের পর এক এই আক্রমণ পরিস্থিতিকে দ্রুত বিস্ফোরক রূপ দিতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা