• রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আইনজীবী ও বিচারক একই পাখির দু’টি ডানা। বিচার প্রার্থী মানুষ ন্যায় বিচার পাবে এদের সমন্বয়ে’ ………মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। আমতলীতে কাঠের ব্রীজই লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের ভরসা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। যথার্থ জুলাই যোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধারা সরকারী রেভিনিউ পাক …..উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতিক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। রিও প্রগতি মানবতা অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত ‘আমরা কলাপাড়াবাসীথ সংগঠন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। চার্জশিটে নাম আসা ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনা সদর কলাপাড়ায় বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা পাচ্ছে ৭২ হাজার ৪৩০ শিশু উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই: আইন উপদেষ্টা প্রিজাইডিং অফিসারই হবেন সেই কেন্দ্রের ‘চিফ ইলেকশন অফিসার’ : সিইসি নাসির উদ্দিন পানপট্টি-বোয়ালিয়া দুই ইউনিয়নের সংযোগ সেতুর বেহাল দশা, দুর্ভোগে হাজারো বাসিন্দা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সামছুউদ্দিন রাজুকে সভাপতি ও তারিকুল ইসলাম কে সম্পাদক করে গাজীপুর জেলায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া চক্র’র আংশিক কমিটি গঠিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

রিপোর্টার: / ১২১ পঠিত
আপডেট: বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫
0-0x0-0-0#

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।

মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছেন রাসেল হাওলাদার। তিনি কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য। তার এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ফলে এলাকাবাসীর ভূয়সী প্রশংসাও কুঁড়িয়েছেন তিনি। মাদক একটি সামাজিক ব্যধি। এটি সমাজ এবং মনুষকে প্রতিনিয়ত ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এমনি এক সময় মাদকের করালো গ্রাস থেকে নিজ এলাকাকে মাদক মুক্ত করতে ওয়ার্ডের সচেতন লোকদের নিয়ে টিম তৈরী করে মাদক বিরোধী অভিযানে নামেন। টিমের সদস্যরা প্রতি রাতে এলাকা পাহারা দেন। কলাপাড়া থানা পুলিশ ও স্থানীয় চৌকিদাররাও তার এ উদ্যোগে সহায়তা করেন। ইতোমধ্যে একাধীক মাদকসেবীসহ মাদক ব্যবসায়ীদের তারা আলোর পথে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসীন্দা অরেচ বিশ্বাস, কামাল হোসেন, আব্দুল আজিজ খাঁন, মহাসীন খাঁন ও মো. জালাল খাঁনসহ অনেকেই জানান, মাদকসেবীদের কারনে বিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থীরা বিপদগামী হতে চলছিল। মাদকের জন্য অনেক পরিবারে অশান্তি বিরাজ করত। কিন্তু ইউপি সদস্য রাসেল হাওলাদার এলাকার লোকদের নিয়ে মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দেন। তিনি তার ওয়ার্ডের প্রতিটি গ্রামে একটি করে টিম তৈরী করেন। মাদকসেবী ও মাদক কারবারীদের দেখা মাত্রই সেখানে তারা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ফলে এ এলাকা এখন প্রায় মাদকমুক্ত বলে তারা জানান।

অভিভাবক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, তার ছেলে মাদকে আসক্ত হয়েছিল। রাসেল হাওলদার ও তার টিমের সহায়তায় তাকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে তিনি জানান।

মাদক বিরোধী টিমের সক্রিয় কমর্ী নোয়াব মিয়া ও স্থানীয় চৌকিদার মো. আল-আমিন বলেন, রাসেল হাওলাদারের মাধ্যমে গঠিত মাদক বিরোধী টিমে তারা নিয়মিতভাবে স্বেচ্ছায় কাজ করছেন। বিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থীরা এখন সন্ধ্যার পরে এলাকায় ঘুরে বেড়াতে পারে না। ফলে অভিভাবকরাও এখন স্বস্তিতে রয়েছে বলে তারা জানান। এ অভিযানের মাধ্যমে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীসহ ১২ জনকে থানা পুলিশের মাধ্যমে আইনের আওতায় নেয়া হয়েছে।

এবিষয়ে মাদক বিরোধী উদ্যোক্ততা বালীয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য রাসেল হাওলাদার বলেন, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক এবি এম মোশাররফ হোসেনের দিক নির্দেশনায় এ উদ্দোগ নিয়েছেন। প্রথমত মাদক সেবীদের সাথে আলোচনা করে এবং এলাকায় মাইকিং করে মাদক মুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। পরবর্তীতে তার ওয়াডের্র ৬ টি গ্রামকে মাদকমুক্ত করার জন্য গত তিন মাস আগে প্রতিটি গ্রামে একটি করে টিম তৈরী করেন। প্রতিটি টিমে ৫ জন করে সদস্য রয়েছে। এছাড়া ১৫ জন সদস্য নিয়ে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স তৈরী করা হয়। ওয়ার্ডের যেখানেই মাদকসেবী কিংবা মাদক কারবারীদের দেখা যায় সেখানেই তারা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে থানা পুলিশের সহায়তায় তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করেন। তাদের এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ওই এলাকা থেকে প্রায় শতভাগ মাদক নির্মুল করতে সক্ষম হয়েছেন।

কলাপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুয়েল ইসলাম বলেন, বালিয়াতলী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রাসেল হাওলাদার মাদক বিরোধী ব্যতিক্রমী যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা আসলেই প্রশংসার দাবীদার। তার এ উদ্যোগের ফলে ওই এলাকায় মাদকের পাশাপাশি চুরি-ডাকাতিও অনেকটা কমে এসেছে। উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থানীয়ভাবে এধরনের উদ্যোগ নেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরও বলেন, গোটা উপজেলায় প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ রয়েছে। এছাড়া, দূর্গম এলাকা হওয়ায় সময়মতো থানা পুলিশ যথাস্থানে পৌঁছাতে পারে না। এজন্য স্থানীয়রা একটু সচেতন হলে থানা পুলিশের সহায়তার পাশাপাশি সমাজ থেকে চুরি-ডাকাতিসহ সকল ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অনেকাংশে কমে আসবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ