• শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ইসির প্রস্তুতি সম্পন্ন, ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই জাতীয় নির্বাচন,,, বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আসা ছিল দেশের টার্নিং পয়েন্ট: ফখরুল,,, জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই: প্রেস সচিব,,, পাইকারিতে দাম কমলেও খুচরা বাজারে প্রভাব নেই,, গুম প্রতিরোধ অধ্যাদেশ অনুমোদন: সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, বিচার শেষ করতে হবে ১২০ দিনে,,, শুক্রবার ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পাকিস্তানে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত দুই বাংলাদেশি তরুণ,, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এনসিপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না: মির্জা ফখরুল,,, সহিংসতার স্থান নেই রাজনীতিতে”— অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিক্রিয়া,,

বরিশালে ৫ পুলিশ সদস্যকে ফাঁসাতে অপচেষ্টার অভিযোগ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

রিপোর্টার: / ১৩০ পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:
বরিশালে অহেতুকভাবে ফাঁসাতে থানা পুলিশের বিরদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিভ্রান্তিমুলক তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগ উঠেছে এক বিকাশ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে । মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানায় এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় থানার শীর্ষ দুই কর্মকর্তাসহ ৪ পুলিশ সদস্য ও গোয়েন্দা বিভাগের একজন কনস্টেবল অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগে উঠে এসেছে। আর বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতই বলছেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে মোবাইল রিচার্জ ও বিকাশে লেনদেনের মাধ্যমে নগরীর বাংলাবাজার এলাকার বিকাশ ব্যবসায়ী মাইনুল ইসলাম স্বপনের সাথে পরিচয় গড়ে উঠে মেট্রোপলিটনের গোয়েন্দা বিভাগের কনস্টেবল রাশেদের স্ত্রী ফারজানা বেগমের। এই সুবাদে তিনি ২০২৩ সালে স্বপনকে তার প্রয়োজনে ৭ লাখ টাকা মাসে ২১ হাজার টাকা লভ্যাংশে ধার হিসেবে প্রদান করেন। কিন্ত স্বপন দুই মাস চুক্তি অনুযায়ী টাকা দিলেও পরবর্তীতে টালবাহানা শুরু করেন। পরবর্তীতে মুল টাকা ফেরত চাইলেও তা ফেরত দেয়নি স্বপন। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ফারজানা বেগম বিকাশ ব্যবসায়ী স্বপনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

সেখানে তিনি জানান, বিবাদী স্বপন ও আমি একই এলাকায় থাকি। বিবাদী বাংলাবাজার মোড়ে বিকাশের ব্যাবসা করে। আমি আমার প্রয়োজনে বিবাদীর দোকান হইতে বিভিন্ন সময়ে মোবাইল রিচার্জ ও বিকাশে টাকা লেনদেন করার সুবাদে বিবাদীর সাথে আমার পরিচয় হয়। বিবাদী তার ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে আমার কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা ধার চায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ২ মার্চ ৩০০ টাকার জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে হাওলাদী চুক্তিপত্র মোতাবেক আমি আমার পারিবারিক টাকার মধ্য থেকে বিবাদীকে নগদ সাত লক্ষ টাকা উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে প্রদান করি।

তিনি আরও বলেন, চুক্তিপত্র মোতাবেক বিবাদী আমার টাকার ব্যবসা বাবদ প্রতি মাসে ২১ হাজা টাকা প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্ত টাকা নেওয়ার পর হতে দুই মাস ব্যবসার টাকা প্রদান করলেও টাকা না দিয়ে পরবর্তীতে টালবাহানা করে আসছে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১০ জুলাই সকাল ১১ টায় বিবাদী আমার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। বিবাদীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক আমি আমার স্বামীকেসহ বিবাদীর বর্তমান ঠিকানার দোকানে যাইয়া আমার পাওনা টাকা চাইলে বিবাদী আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগারাজ করে ও আমার টাকা দিবেনা করে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় সমাধান চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ফারজানা।

এদিকে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত হন কোতয়ালী মডেল থানার এসআই রুহুল আমিন। তিনি অভিযোগ প্রাপ্তির পর আরোপিত দায়িত্ব পালনে সুষ্ঠুভাবে তদন্ত শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার ১২ টার দিকে থানায় উভয়পক্ষ উপস্থিত হন। সেখানে বাদী ফারজানার দেয়া টাকা ধারের কথা স্বীকার করেন বিকাশ ব্যবসায়ী স্বপন বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। তিনি জানান, উভয়পক্ষ থানায় আসলে স্বপন টাকা ধার নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। এসময় তিনি আগামী ৬মাসের মধ্যে টাকা দিয়ে দিবেন বলে জানান। কিন্ত বাদী ২ মাস সুযোগ দিবেন বলে জানান। আমি উভয়ের সম্মতিক্রমে ৪ মাসের মধ্যে সমুদয় অর্থ ফেরত দিবেন স্বপন এমন প্রস্তাব করলে তারা রাজি হন। একপর্যায়ে স্বপনের মা’ও থানায় আসেন। তিনি আপোসনামায় ছেলের পক্ষে স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করেন। যার কপি সংরক্ষিত রয়েছে। পরবর্তীতে দুই পক্ষই তাদের মত করে থানা ত্যাগ করেন।

রুহুল আমিন আরও জানান, থানা থেকে বের হয়েই মিথ্যা একটি নাটক সাজান বিকাশ ব্যবসায়ী স্বপন। যার দরুন তিনি একটি মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি আমাদের দুই ওসি স্যারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানীকর তথ্য উপস্থাপন করেন। যার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। স্বপন থানায় আসলে উভয় পক্ষের কথা শুনা হয়। সেখানে ওসি কিংবা ওসি অপারেশন স্যার কেউই উপস্থিত ছিলেন না। স্বপনকে হুমকি কিংবা আটকেও রাখা হয়নি। এছাড়া তার মা’ও স্বেচ্ছায় থানায় এসে ৪ মাসের মধ্যে টাকা দিয়ে দিবেন এমন আপোষনামায় ছেলের পক্ষে স্বাক্ষী হয়ে স্বাক্ষরও করেন। কোন স্বেচ্ছাচারিতা কিংবা অনিয়মের মাধ্যমে কোন আপোসনামা হয়নি। সবকিছুই যথানিয়মের উভয়ের সম্মতিতে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে দুই পক্ষ।

তিনি আরও জানান, আমি শুধু উভয় পক্ষের মধ্যে টাকা ফেরতের সময়সীমার বিষয়ে প্রস্তাব দেয়ায় তারা ৪ মাসের সময়টি মেনে আপোসনামা করেছি । এছাড়া আমরা থানা পুলিশ অন্য কোন বিষয়ে কথাও বলিনি। অথচ ব্যবসায়ী স্বপন সম্পুর্ণ বিভ্রান্তিমুলক তথ্য দিয়ে আমাদেরকে অহেতুকভাবে ফাঁসাতে অপচেস্টা চালিয়েছেন। এ বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট উর্ধতন স্যারদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ