• মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কুয়াকাটায় কর্মরত সাংবাদিকদের মানববন্ধন/দৈনিক ক্রাইম বাংল।। কলাপাড়ায় দুই কেজি গাঁজা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাগাছের ভেলায় ভেসে বানভাসী মানুষের ব্যতিক্রমী সংবাদ সম্মেলন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের বিচার ফাঁসির দাবিতে বাউফলে সাংবাদিকদের মানববন্ধন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বোরহানউদ্দিন পৌর বিএনপির উদ্দ্যাগে লিফলেট বিতরণ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। দ্বিপক্ষীয় সফরে আজ মালয়েশিয়া যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা,,, দৈনিক ক্রাইম বাংলা সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে বদলগাছীতে মানববন্ধন -বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। ঝালকাঠিতে ব্যবসায়ীর ভবনে অভিযান:মাদকসহ আটক করে ৪ জনকে কারাদণ্ড/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে কলাপাড়ায় মানববন্ধন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

লক্ষীপুরে হারিয়ে যাচ্ছে জাতীয় ফুল শাপলা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

রিপোর্টার: / ২৬ পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫


হাবিবুর রহমান,লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ

লক্ষীপুরের রামগতি ও কমলনগর থেকে জাতীয় ফুল শাপলা এখন বিলুপ্ত প্রায়। বর্ষা মৌসুমে এক সময় জেলার আনাচে-কানাচে পড়ে থাকা জলাভূমি, পুকুর-ডোবা, নদী-নালা ও খালবিল এক সময় শাপলায় ভরে থাকত। যা এক সময় গ্রামকে অপরূপ সৌন্দর্যে ভরে রাখত। এই উদ্ভিদ কোন প্রকার পরিচর্যা ছাড়াই গ্রাম গঞ্জের পুকুর, ডোবা, জলাশয়ে জন্মে থাকে।
একাধিক গুণযুক্ত এই শাপলার ডাটা একদিকে যেমন সবজি অন্যদিকে শাপলার মূল ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শাপলা ফুল ফোটার পর কিছুদিনের মধ্যে ফল জন্ম নেয়। আর ওই ফলের ভেতরে থাকে কালো কালো দানা। এটাকে লোকজন বলে ‘চাউলিয়া’। শাপলার চাল রোদে শুকিয়ে মহিলারা ভাজতো ঢ্যাপের খৈ। এরপর বর্ষা চলে গেলে শুকনো মৌসুমে ছেলেমেয়েরা ওই সব ডোবা নালা থেকে কুড়িয়ে আনতো শালুক। আগুনে পুড়ে শালুক খেতে দারুণ স্বাদ।
লক্ষীপুর জেলাতেও শাপলা ফুলের ডাটার বেশ চাহিদা রয়েছে। তরকারি হিসেবে সুস্বাদু এই শাপলা। বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন হাট বাজারে এই শাপলা সবজি হিসেবে ব্যাপক বিক্রি হয়। কিন্তু কমলনগর রামগতি ও রায়পুর থেকে বিলুপ্ত প্রায় এই শাপলা এখন স্মৃতির আসনে জায়গা নিয়েছে। কারণ হিসেবে দেখা গেছে, আগের সব পুকুর, নদী, খাল ভরাট করে মানুষের নানা মুখী কর্মকান্ড ও কৃষিতে অতিমাত্রায় আগাছা নাশক ওষুধ প্রয়োগের কারণে শাপলার জন্মস্থলগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।
জেলার একাধিক এলাকা ঘুরে দু/একটি পুকুরে গুটি কয়েক শাপলা ফুটে থাকতে দেখা গেছে। যার মধ্যে খর্এলাকায় একটি পুকুরে কয়কটি শাপলা ফুল রয়েছে। শাপলা মূলত বর্ষার শেষ থেকে শরৎকাল গ্রামগঞ্জের পুকুর, ডোবা, জলাশয়গুলোতে জন্মে থাকে। বর্তমানে নিচু জমিগুলোতে বিভিন্ন ধরণের ফসল চাষ হচ্ছে। ফলে শাপলা জন্মানো সুযোগ পাচ্ছে না। আর পুকুর জলাশয়গুলো পরিস্কার করে বাণিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ হচ্ছে। সে কারণে পুকুরগুলোতেও শাপলা বংশ বিস্তারের সুযোগ পাচ্ছে না। তাই, আগের মত আর শাপলা দেখা যায় না।
এদিকে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, লক্ষীপুর জেলার অনেক এলাকাতেই বাণিজ্যিক ভাবে শাপলা চাষের সুযোগ রয়েছে। এতে করে বেকার সমস্যা সমাধান হতে পারে অনেকাংশেই। রাস্তার ধারের প্রতিত খালগুলো শাপলা উৎপাদনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। এতে করে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাশাপাশি শাপলার সবজি হিসেবে চাহিদা মিটতে পারে।
এব্যাপারে রায়পুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বলেন রায়পুর উপজেলায় পতিত জমি ও গর্ত জমিতে মাছ চাষ করার কারণে জাতীয় ফুল শাপলা এখন বিলুপ্তির পথে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ