
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
কলাপাড়ায় ইউপি সদস্য মিজানুর চৌকিদারের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রিতি, অর্থআত্মসাৎ সহ নানা কর্মকান্ডে ফুঁসে উঠেছে গ্রামবাসী। উপজেলার ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্যের বিভিন্ন অপকর্মের চিত্র তুলে ধরেন গন্ডামারী গ্রামের বিক্ষুদ্ধ সাধারন মানুষ।
উৎকোচ সখ্যতায় সরকারী সহায়তার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির অযুহাতে অসহায় হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে স্বজনপ্রিতির বদৌলতে তালিকায় নাম না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ বিরাজমান। প্রকৃত প্রতিবন্দিদের তালিকায় নাম না দিয়ে সুস্থ মানুষ কে অসুস্থ প্রতিবন্দি সাজিয়ে প্রতিবন্দি ভাতার টাকা বিতরনে সীমাহীন বৈষম্যের অবতারনা করা হয়। উত্তর নিশানবাড়ীয়া আবাসনের শিল্পি বেগমের পুত্র প্রতিবন্দি মুসা, পূর্ব গন্ডামারী গ্রামের ফারুক মৃধার ছেলে জুনায়েত মৃধা প্রতিবন্দি ভাতা থেকে বঞ্চিত হওয়ার খবর ওই এলাকায় চাউর হয়ে উঠেছে। ৫ই আগষ্ট পরবর্তী বর্তমান সময় পর্যন্ত আওয়ামিলীগের স্থানীয় নেতা মিজানুর রহমান হতদরিদ্র জনগনের সাথে অনাকাঙ্খিত প্রতারনা করে আসছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ধানখালী ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন তিনি। প্রভাবশালী ধন্যাড্ড ব্যাক্তিদের সরকারি সহায়তা তালিকায় নাম অন্তভুর্ক্তির অভিযোগ রয়েছে। পূর্ব গন্ডামারী গ্রামের বাসিন্দা পরিবানু সরকারি লেট্রিন এবং টিউবয়েল দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার দাবি করেন। এছাড়া একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ওই এলাকার জব্বার মৃধা, আনসার প্যাদা, রহমান তালুকদার, ইলিয়াস প্যাদা, কুদ্দুস তালুকদার ও সাবেক ইউপি সদস্য নাসির তালুকদার জানান, ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার জনগনের সাথে কোন যোগাযোগ রাখেনা। নিজের খেয়াল খুশিমত নাগিরিক সেবা প্রদান করেন। কৃষকদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি কীটনাশক, সার, বীজ প্রকৃত কৃষকদের না দিয়ে তার নিজের লোকদের মাঝে বিতরন করেছেন। জেলে কার্ড, ভিজিডি, বয়স্ক ভাতা, টিউবয়েল, লেট্রিনসহ সরকারি সকল সেবা পাওয়ার জন্য তিনি সাধারন মানুরষের কাছে টাকা দাবি করেন। স্থানীয়রা এর সুষ্ঠ তদন্তসহ বিচারের দাবি জানান।
ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য মিজানুর চৌকিদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।
ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।