• শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আমরা কলাপাড়াবাসী সংগঠনের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কর্মশালা,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটকের নিন্দায় বাংলাদেশ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুরা : নীতিমালার কাগজে অধিকার, বাস্তবে বন্দী শৈশব,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ভোলার নদী গুলোর মৎস্য অভয়ারণ্যে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা গাজায় আবারও পাঠানো হচ্ছে ত্রাণবাহী নৌযান: ঘোষণা ফ্লোটিলার,,, দৈনিক ক্রাইম বাংলা আ. লীগের শাসনামলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেয়া হয়: অ্যাটর্নি জেনারেল,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কলাপাড়ায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতার পুজা মন্ডপ পরিদর্শন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও কুয়াকাটায় পর্যটকদের বাঁধভাঙা উল্লাস/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সৌদি আরবের বিখ্যাত ‘খেপসা’ খাওয়ালেন বিএনপির নেতা ইন্জিনিয়ার ফারুক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বাউফলে সেই আলোচিত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গোবিন্দ ঘরামি গ্রেফতার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

রাত দশটা বাজলেই ভুতুরে অন্ধকারে পরিনত হয় কুয়াকাটা সৈকত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

রিপোর্টার: / ১৯৯ পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

মো.নাহিদুল হক কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ঘড়ির কাটায় রাত ঠিক ১০ টা বাজলেই সব আলো নিভে যায়। মূহুর্তেই ভুতুরে অন্ধকারে পরিণত হয়ে যায় পর্যটন নগরী সাগর সৈকতের বিচ এলাকায়। ট্যুরিষ্ট পুলিশ মাইক নিয়ে দোকান বন্ধের আহŸান করে রাত ১০ টা বাজলেই। অনিচ্ছা সত্তে¡ও দোকান বন্ধের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন ব্যবসায়ীরা। চাপা ক্ষোভ নিয়ে হোটেল-মোটেলে ফিরতে শুরু করলেন গুরতে আসা পর্যটকরা। প্রতিদিন এ চিত্র দেখা যায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। পর্যটন কেন্দ্রে এতো তাড়াতাড়ি বিদ্যুৎ বন্ধ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঘুরতে আসা পর্যটকসহ ফিশ ফ্রাই ও ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, কয়েক সপ্তাহ ধরে রাত দশটা বাজলেই সৈকতের বীজ পয়েন্টের ফিস ফ্রাই এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। রাত ১০ টা বাজতেই মাইকিং করে দোকান বন্ধ করতে বলেন ট্যুরিষ্ট পুলিশ। দোকান বন্ধ করতে দেরী হলে তাদের রোষানালে পরতে হয় ওই সব ব্যবসায়ীদের। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফিশ ফ্রাই ও ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা। নভেল করোনা ভাইরাসের কারনে ২ বছর পর্যটন এলাকার সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এখন সেই ধকল কাটিয়ে ওঠার সময়। অথচ রাত ৯ থেকে ১০ টার দিকে বিচে পর্যটকদের ভীর বাড়তে শুরু করে। আর ঠিক সেই সময়ে সাগর পাড়ের দোকান গুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়। এতে পর্যাপ্ত সময়ের অভাবে বেচা-বিক্রি কম হওয়ায় লোকসানের মুখে পরছে ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ,অনেক পর্যটকদের এখানে এসে পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। তারা যে সময় বিচে আসতে শুরু করে ঠিক ওই সময়ে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে তাদের লোকসানের মুখে পরতে হচ্ছে।
এনিয়ে পর্যটকদের অভিযোগের কমতি নেই। ফ্রিশ ফ্রাই অঞ্চলে বিদ্যুৎ বন্ধ করায় অন্ধকার নেমে আসে। অনেক পর্যটক তখনও খাওয়া শেষে করতে পারেনি। মোবাইলের আলো দিয়ে খেতে দেখা গেছে অনেককে। ফলে তাড়াহুড়ো করে খাওয়া শেষ করতে হয়েছে তাদের। হঠাৎ অন্ধকারে তৃপ্তিসহকারে খেতে না পেরে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন একাধিক পর্যটক। ঢাকা থেকে আগত মনি বলেন, অনেক আশা নিয়ে কুয়াকাটা এসেছিলাম। কিন্তু এখানকার অবস্থা দেখে মনটা ভেঙ্গে গেছে। তৃপ্তি নিয়ে খাওয়াটাও শেষ করতে পারলাম না। এতো কম সময়ে বিচ এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ করার কোন মানে হতে পারে না। সময়টা আরো বাড়ানো দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন। ভোলা থেকে আগত পর্যটক মো. হাসান ও সঞ্জিব বলেন, আমরা দুই বন্ধ একদিনের জন্য কুয়াকাটা আসছি। মাত্র এসে পৌঁছেছি। ফিস ফ্রাই খাবার ইচ্ছে ছিলো কিন্তু বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়ায় তা খেতে পারছি না। ট্যুরিস্ট পুলিশ সবাইকে বন্ধ করতে বলছে। তাই এখন কেহ ফিস ফ্রাই করবে না। অন্তত রাত ১২ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবাহ চালু রাখা উচিত বলে মনে করেন তারা।
এবিষয়ে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো.আনোয়ার হাওলাদার বলেন,পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিচ এরিয়ায় সারারাত দোকান খোলা রাখা উচিৎ। এতে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে আনন্দ করতে পারবে।
কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশের পরিচালক হাসনাইন পারভেজ বলেন,পর্যটকদের নিরাপত্তা জন্য আমাদের জনবল কম থাকায় রাত ১০ টায় সৈকতের ভ্রাম্যমান দোকান গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন বলেন, যতক্ষন পর্যটক থাকবে ততক্ষন বিদ্যুৎ থাকবে। বিদ্যুৎ বন্ধ করার কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। বিষয়টি আমি দেখবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ