এম জাফরান হারুন, , পটুয়াখালীঃ অবশেষে সেই অজ্ঞাত নারী সিমা বেগমের লাশ শনাক্তের পর স্বামীর হাতে খুন মামলার প্রধান আসামি স্বামী রাসেল মাতুব্বর কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাউফল থানার ওসি আল-মামুনের দিকনির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল বাশার একটি চৌকস টিমের সহায়তা নিয়ে গত শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাতে মানিকগজ্ঞের শিবালয় থানার সাকরাইল এলাকা থেকে ওই আসামিকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামি রাসেল মাতুব্বর (৩৫), বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের বাহির দাসপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জালাল মাতুব্বর এর ছেলে। আর সিমা বেগম ছিল তার স্ত্রী।
এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি আল-মামুন বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি এখন থানা হেফাজতে আছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের নারাইনপাশা গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দোতলার সিঁড়ির ঘর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে বাউফল থানা পুলিশ একটি নারীর লাশ উদ্ধার করেন। পরে থানা পুলিশের প্রচেষ্টায় ওই নারীর লাশ তার আত্মীয় স্বজনরা ঢাকা থেকে এসে শনাক্ত করেন। এবং পরের দিন মঙ্গলবার সিমার মা বাদী হয়ে বাউফল থানায় স্বামী রাসেল মাতুব্বরকে প্রধান আসামি করে আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে অজ্ঞাত নামা একটি হত্যা মামলা করেন।
সিমা বেগমের মা রিনা বেগম ও খালু আব্দুল কাদের জানান, আমাদের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। আমরা দীর্ঘদিন ঢাকার দক্ষিণ মুসুন্দী ২১৮ লালমোহন সাইষ্ঠি থাকি। আজ দুই বছরের অধিক হয় আমাদের মেয়ে সিমার সাথে রাসেলের বিবাহ হয়। তখন থেকেই মেয়েকে বিভিন্ন জ্বালা যন্ত্রণা নির্যাতন করে আসছিল। পরে জানতে পারি রাসেল এর আগে আরও দুইটা বিবাহ করেছে। তাই তাদের গ্রামের বাড়ি বাউফলে আসতে দেইনি। পরে কিছুদিন না যেতেই আবার জানতে পারি রাসেল আরেকটা বিবাহ করেছে। এদিকে মেয়েকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলি গত রোববার ফোন করে নিয়ে আসে বাউফলে।
হঠাৎ সোমবার দিন রাত ১২টায় বাউফল থানা থেকে পুলিশ জানালো আমাদের মেয়ের কথা। ঢাকা থেকে থানায় এসে দেখি আমাদের মেয়ের লাশ।